রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় গ্রেফতার শিবির নেতা হাফিজুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ভোর পৌনে ৫টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মত্যুর পর তার মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপতালের মর্গে রাখা হয়েছে। দুপুরের মধ্যে ময়নাতদন্ত করে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।
সকালে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শিবির নেতা হাফিজুর রহমান আগে থেকেই রক্ত স্বল্পতা সমস্যা আক্রান্ত ছিলেন। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৭ মে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে পাঠানো হয়। এর পর থেকে তিনি হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউস সাদিক বাংলানিউজকে জানান, গত ২৮ এপ্রিল দুপুরে আটক হাফিজুর রহমানকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রাজশাহী মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে-১ এ হাজির করা হয়। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মোকসেদা আজগর তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তাকে চারদিন ডিবি কার্যালয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছিলো বলেও জানান তিনি।
ড. রেজাউল হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে সর্ব প্রথমে রাবির লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও মহানগরীর ১৯নং ওয়ার্ড ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমানসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। এর মধ্যে হাফিজুরকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয় ডিবি।
এর আগে ২৩ এপ্রিল সকাল পৌনে ৮টার দিকে মহানগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের আসামি করে ওইদিন বিকেলে নিহতের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে বোয়ালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পরে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সসয়: ০৮১৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৬/আপডেট: ০৯১০ ঘণ্টা
টিআই