ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৫ সালের বিএসএস (সম্মান) পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল অর্জন করায় ১২জন শিক্ষার্থীকে ‘অধ্যাপক সিতারা পারভীন পুরস্কার’ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার হলে এই পুরস্কার তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিক।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, মনিরা বেগম, নুজায়রা তারান্নুম, মালিহা তাবাসসুম, তাঞ্জিনা তানিন, আলি আহসান, ইমরান হোসেইন, আশরাফুল গনি, মেহেদি হাসান, মাহ্মুদুল হাসান, জাহিদ-ই-হাসান, বাপ্পি কুমার পাল, শামিমা সুলতানা। এদের মধ্যে মনিরা বেগম প্রথম হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার হলে অধ্যাপক সিতারা পারভীন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কারের চেক তুলে দেন। এসময় তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি পারিবারিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমরা একটা খারাপ সময় পার করছি।
দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের প্রেক্ষাপটে ঢাবি উপাচার্য বলেন, সমাজের কু-সন্তানরা সমাজকে কলুষিত করছে। এ অপকর্ম নিরসনে প্রতিরোধ যুদ্ধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
২০০৫ সালের ২৩ জুন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সিতারা পারভীন যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার স্মৃতির প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশে প্রতিবছর বিএসএস পরীক্ষায় কৃতী শিক্ষার্থীদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রয়াত অধ্যাপক সিতারা পারভীনের কথা স্মরণ করে ঢাবি উপাচার্য তার আদর্শ অনুসরণ করে আলোকিত সমাজ গঠনে নিরলসভাবে কাজ করার জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক মফিজুর রহমান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রয়াত অধ্যাপক সিতারা পারভীনের স্বামী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অপর অধ্যাপক আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলী।
এসময় অধ্যাপক সিতারা পারভীন স্মারক বক্তৃতা পাঠ করেন বিশিষ্ট পরিবেশ ও মানবাধিকার গবেষক ফিলিপ গাইন। বক্তৃতার বিষয় ছিলো ‘মধুপুর শালবন: বিশ্বব্যাপী প্রজাতি বিনাশের ছায়া’।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৬
এসএইচ