দায়িত্বে অবহেলা অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে সোমবার (৯ জানুয়ারি) শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এনসিটিবি’র দুই কর্মকর্তাকে ওএসডি করার তথ্যটি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বইয়ের ভুলক্রটি নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করবেন বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনেই পরিচালিত হয় এনসিটিবি।
নতুন বছরের বইয়ের মধ্যে প্রাথমিকের বইয়ে ভুল-ত্রুটি দেখা যাওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কেই সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয়েছে, বাদ যায়নি এনসিটিবি।
কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষা ব্যবস্থা বলতে বলতে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদের প্রসঙ্গই চলে আসে। মুদ্রণের দায়-দায়িত্ব মন্ত্রণালয়ের। শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বাস্তব অবস্থা তুলে ধরবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, পাঠ্যবইয়ে কোনো ভুল হওয়ার সুযোগ নাই। যেটা জানে না সেটা লিখেছে কেন? দায় দায়িত্ব কেউ এড়াতে পারে না। হয়তো ষড়যন্ত্র করে এমনটা করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এনসিটিবি চেয়ারম্যানকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে এনসিটিবি চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা বিকেলে বাংলানিউজকে বলেন, এনসিটিবি গঠিত তদন্ত কমিটি দু’একদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।
এনসিটিবি এ দায় এড়াতে পারে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, দায় থাকলে নেব।
বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রথম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘ওড়না বিতর্ক’, ‘ছাগল গাছে উঠে আম খাচ্ছে’,- এমন বর্ণনা তৈরি করেছে সমালোচনার।
তৃতীয় শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবই ‘আমার বই’তে কুসুমকুমারী দাশের কবিতা ‘আদর্শ ছেলে’র মূল লাইন ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে’র শব্দ উল্টে দিয়ে সেখানে শব্দ বদলে দেওয়া হয়েছে।
মর্মবাণী প্রকাশ করতে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণির হিন্দু ধর্মশিক্ষা বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ছাপানো হয়েছে ‘DO NOT HEART ANYBODY’, যাতে বোঝাতে চাওয়া হয়েছিলো ‘কাউকে আঘাত দিও না’।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৭
এমআইএইচ/এটি