বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগের আগে সোমবার (০৯ জানুয়ারি) বিকেলে শেষ মুহূর্তেও শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শুভাকাঙ্ক্ষী মহলের দীর্ঘ সারি উপাচার্য বাংলো থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক পর্যন্ত তার সঙ্গে সঙ্গেই ছিলো।
উপাচার্য পায়ে হেঁটে সবার সঙ্গে কথা বলতে বলতে প্রধান ফটকে পৌঁছান।
খুলনা বিশ্ব¦বিদ্যালয়ের ইতিহাসে ইতোপূর্বে কোনো উপাচার্যের কর্মকালের শেষ সময়ে এমন নজির দেখা যায়নি। সফল উপাচার্য হিসেবে সব মত-পথের ঊর্ধ্বে সর্বমহলের প্রসংশা, শ্রদ্ধা-ভালোবাসার এক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে উজ্জ্বল ভাবমূর্তি গড়ে তিনি সৃষ্টি করলেন নতুন ইতিহাসের।
সকাল থেকেই তাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসা শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শুভাকাঙ্ক্ষী মহলের ভিড় বাড়তে থাকে। সকাল ১০টায় কর্মব্যস্ততার মধ্যেও পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে যোগ দেন বিদায়ী ভিসি।
এরপর সকাল ১১টায় ডিন, পরিচালক, ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্টদের সঙ্গে মিলিত হন। সেখানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং বিশেষ কয়েকটি বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন এবং তার কর্মমেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
সভায় সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টিতে উপাচার্যের অনবদ্য অবদানের কথা স্বীকার করেন।
দুপুর ১২টায় কর্মকর্তা এবং এর পরপরই কর্মচারীরা সংবর্ধনা দেন ফায়েক উজ্জামানকে। এ সময় বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) টিপু সুলতান, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক খান মো. অলিয়ার রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (চলতি দায়িত্ব) শেখ শারাফাত আলী, উপ-রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলী আকবর, উপ-রেজিস্ট্রার দীপক চন্দ্র মণ্ডল এবং কর্মচারীদের মধ্যে মোস্তফা আল মামুন প্রবাল, অমিতাভ ঘোষ, রমা দাস, আব্দুল কাদের, রবিউল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, উপাচার্য হিসেবে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন অধ্যায় ও সংস্কৃতি চালু করে গেলেন। আর তা হচ্ছে তার সততা নিষ্ঠা ও সবাইকে নিয়ে কাজ করার মানসিকতা।
সংবর্ধনার জবাবে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, সবার অংশগ্রহণ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। একটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নির্ভর করে সবার সহযোগিতামূলক অংশগ্রহণের ওপর। মানুষের মানবিক দিকই হলো সবচেয়ে বড় বিষয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমার চিরকাল আত্মিক সম্পর্ক থাকবে।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমৃদ্ধি ও উন্নতি সুনাম ভাবমূর্তি সবকিছুই আমাকে আনন্দিত করবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের প্রতিষ্ঠান হিসেবে, দেশের প্রতিষ্ঠান মনে করে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করে এর অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৬
এমআরএম/এএটি/এমজেএফ