রাজু গ্রুপের সদস্যরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিতে শনিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে হিরন গ্রুপের ওপর হামলা চালালে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে সূত্রে জানা গেছে।
হামলায় রাসেল, মামুন ও কাজল নামে তিন ছাত্র আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় গত ১৭ নভেম্বর ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ শাখার একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ‘রাজু গ্রুপ’র নেতৃত্বে রয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক নূরে আলম ভূঁইয়া রাজু আর ‘হিরন গ্রুপ’র নেতৃত্বে যুগ্ম-আহ্বায়ক হিরণ ভূঁইয়া।
রাজু গ্রুপের সমর্থকদের একাংশ ক্যাম্পাসের বাইরে থাকতো। তারা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিতে শনিবার হিরন গ্রুপের সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের এক আবাসিক ছাত্র বাংলানিউজকে বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা রাজু গ্রুপের সমর্থকরা হিরন গ্রুপের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে করে হিরন গ্রুপের সদস্যরা ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান নেয়।
পরে হিরন গ্রুপের সদস্যরা রাজু গ্রুপের ওপর পাল্টা হামলা চালায়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় গুলির শব্দ শোনা গেছে।
রমনা জোনের উপ কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কলেজ শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে হলগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে দা, লাঠি ও রড উদ্ধার করেছে পুলিশ সদস্যরা। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ থেকে ১২ জনকে আটকও করা হয়েছে। মূলত আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্ররা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
শনিবার দিবাগত রাতে ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের গেটগুলোতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কলেজে ও হলের ভেতরে পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিটি হলের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ সদস্য।
বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং রাতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলেও জানান মারুফ হোসেন সরদার।
কলেজের ভেতরে মোট আটটি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে একটিতে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্ররা থাকেন। বাকি সাতটিতে থাকেন অনার্স ও মাস্টার্সের ছাত্ররা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৬
পিএম/ওএইচ/এসএইচ