তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ও সরকারি ছাপাখানার (বিজি প্রেস) অসাধু কর্মচারীরা আগেই আটক হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
ইতিবাচক পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্নের লক্ষ্যে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় মনিটরিং এবং আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কখনোই দেশে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। দুষ্কৃতিকারীরা নিজেরা একটি প্রশ্নপত্র বানিয়ে বাজারে ছেড়ে দিতো এবং মুনাফা লুটতো। এসব প্রশ্নের সঙ্গে কখনোই বোর্ডের প্রশ্নের মিল থাকতো না। তবে কিছু প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই মিলে যেতো।
নাহিদ বলেন, এবারও নকল মুক্ত পরিবেশে শান্তিপূর্ণ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নকলমুক্ত, ইতিবাচক পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানো রোধ, ফেসবুকে প্রশ্ন সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়।
সূত্র জানায়, প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সম্ভাব্য সব জায়গায় গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিজি প্রেসের পুরো সিস্টেমে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. অরুনা বিশ্বাস, চৌধুরী মুফাদ আহমদ ও রুহী রহমান, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস ও একেএম জাকির হোসেন ভুঞা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এ কে মফিজুল হক, পুলিশের এআইজি মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. দিদার আহমদ, মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক বেগম ভিকারুন নেছা, এনএসআই’র যুগ্ম পরিচালক শিরিন আক্তার, আইসিটি বিভাগের যুগ্মসচিব মো. নুরুল করিম মজুমদার, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. মিজান-উল-আলম এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মাহাবুবুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৭
আরএম/এটি