ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

খুবির অফিসারদের ব্যতিক্রমী নির্বাচনী প্রচারণা!

মাহবুবুর রহমান মুন্না, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
খুবির অফিসারদের ব্যতিক্রমী নির্বাচনী প্রচারণা! ফেসবুকে খুবির অফিসারদের নির্বাচনী প্রচারণার পোস্টার

খুলনা: ব্যতিক্রমী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) অফিসার কল্যাণ পরিষদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের প্রার্থীরা।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো নির্বাচনে রাজনীতির প্রভাব থাকে। প্রার্থীরা যেমন ক্যাম্পাসে পথসভা, সমাবেশ করে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে বিষোদাগার করে তেমন কোনো প্রচারণা নেই খুবি ক্যাম্পাসে।

এমনকি নেই মুখোমুখি অবস্থানও। তবে সামাজিক মাধ্যমে প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চালাচ্ছেন জমজমাট প্রচার প্রচারণা।

কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা কিংবা নিজের ছবির পোষ্টার, প্যানা না ছাপিয়ে কেবল মাত্র মৌখিকভাবে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা।  

২৬ জুলাই দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নির্বাহী পরিষদের মোট ১৫টি পদে ৪৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ২৪৬ জন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এখন ৩ জন। এরা হলেন- যথাক্রমে মো. সিরাজুল ইসলাম, শেখ মুজিবুর রহমান ও আবদুর রহমান। সহ-সভাপতির ২টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৬ জন। এরা হলেন- জি এম আনিসুর রহমান, গাজী আলাউদ্দিন আহমদ, মো. তারিকুজ্জামান (লিপন), বেগম সামছুন্নাহার (শিমুল), শাহ নওরোজ ও মো. আব্দুল হামিদ বেপারী। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩ জন। তারা হলেন- এস এম মোহাম্মদ আলী, দীপক চন্দ্র মন্ডল ও অলোকা রাণী দাস।

এছাড়া যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মাসুদুর রহমান মিয়া, মো. মিজানুর রহমান খান (মুকুল) ও এস এম মনিরুজ্জামান (পিন্টু)। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তানভীর হোসেন, মো. আতিয়ার রহমান ও মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। অর্থ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শেখ আরিফ নেওয়াজ, মো. আব্দুর রহমান ও প্রীতিশ কুমার রায়। ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মো. শহিদুল ইসলাম, এস এম জাকির হোসেন ও মো. শফিকুল ইসলাম (বাবু)।
ফেসবুকে খুবির অফিসারদের নির্বাচনী প্রচারণার পোস্টার নির্বাহী সদস্যের ৭টি পদে ২২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন-  যথাক্রমে মো. মেহেদী হাসান, মিয়া মুহাম্মাদ সালাউদ্দীন (সুকর্ণ), আশরাফা ফেরদৌসী (শারনা), মো. রহমত আলী, গোলাম কিবরিয়া, খোন্দকার শাহানারা নাজনিন, শেখ কামরুল ইসলাম, মো. জসীম উদ্দিন, মো. শাহীদুর রহমান, আল মামুন শেখ, মো. সফিকুল ইসলাম (সফিক), সঞ্জয় সাহা, ডা. শেখ সাঈদ আফতাব, কাজী ফেরদাউস, এ কে এম আব্দুস ছালাম মিয়া, বিভূতিভূষণ সাহা, শেখ আফসার উদ্দিন, মো. সোহাগ মোল্লা, ব্রজেন্দ্রনাথ মন্ডল, মো. রবিউল ইসলাম, মো. রফিকুল ইসলাম (বাবু) ও মো. ফারুক হোসেন।

এ নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন খুবি’র উপ-রেজিস্ট্রার জি এম লুৎফর রহমান।

খুবির ডেপুটি ডাইরেক্টর ও সহ-সভাপতি প্রার্থী গাজী আলাউদ্দিন আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে আমরা আমাদের নির্বাচনকে রাজনীতির প্রভাবমুক্ত রেখেছি। নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা মেনেই চালানো হচ্ছে প্রচারণা।

তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, সৎ ও যোগ্য প্রার্থী বেছে নেওয়ার এটাই সময়। সাধারণ কর্মকর্তাদের কল্যাণে যারা কাজ করবেন তাদেরকেই বেছে নেবেন ভোটাররা।

খুবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও ভোটার এস এম আতিয়ার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ ৬ বছর পর নির্বাচন হওয়ায় প্রার্থীদের উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভোটারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা।  
প্রধান নির্বাচন কমিশনার খুবির উপ-রেজিস্ট্রার জি এম লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় একটি ব্যতিক্রমধর্মী রাজনীতিমুক্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যে কারণে নির্বাচনকে রাজনীতি প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। তারা কোনো নেতা বা দলের কথা না বলে শুধু নিজেদের কথা বলে ভোট চাচ্ছেন।
 
এদিকে সেশনজট, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ছাত্র রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ নির্বাচন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মডেল হতে পারে বলে মনে করেন অনেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
এমআরএম/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।