ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

এমপিওর দাবিতে মন্ত্রীর পায়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৭
এমপিওর দাবিতে মন্ত্রীর পায়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা  এমপিওর দাবিতে মন্ত্রীর পায়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা 

যশোর: যশোরে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির সামনে শুয়ে ও শিক্ষামন্ত্রীর পায়ে পড়ে এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়েছেন ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। 

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মুজিব সড়কে এ ঘটনা ঘটে।  

তবে, এ ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ তার সফরসঙ্গীরা বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে।

এমনকি, শিক্ষক-কর্মচারীদের হুটকারী এ কর্মসূচিতে মন্ত্রীর প্রটোকলের দায়িত্বে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও পড়েন বেকায়দায়।
 রাস্তায় শুয়ে মন্ত্রীর গাড়ি আটকালেন শিক্ষক-কর্মচারীরা সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শহরের মুজিব সড়ক (প্রেসক্লাবের সামনে) এমপিওভুক্তির দাবিতে ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ব নির্ধারিত মানববন্ধন চলছিলো। ওই পথে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ উপশহর ক্রীড়া উদ্যানে আয়োজিত ৪৬তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন শেষে  সার্কিট হাউজে ফিরছিলেন। এরইমধ্যে শিক্ষকরা মানববন্ধন ছেড়ে সড়কের ওপর অবস্থান নেন এবং দাবির পক্ষে নানা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এমনকি, মন্ত্রীর গাড়ি আটকে শিক্ষকদের কেউ কেউ সড়কে শুয়ে পড়েন। এতে বাধ্য হয়েই শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গাড়ি থেকে নেমে আসলে একজন নারী শিক্ষক মন্ত্রীর পা জাপটে ধরে কান্নাকাটি শুরু করেন, তার মানবেতর জীবনযাপনের কথা তুলে ধরে।

এ সময় মন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে বহরে থাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিব সোহরাব হোসেন, মন্ত্রীর পিএস জাকির হোসেনসহ অন্যরা বেশ বিব্রত হয়ে শিক্ষকদের এ ধরণের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে মন্ত্রী ওই নারী শিক্ষকের মাথায় হাত দিয়ে দাবি পূরণের আশ্বাস দেন।  

এমপিওভুক্তির দাবিতে রাস্কায় শিক্ষক-কর্মচারীরা পরে শিক্ষকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দাবি আদায়ের আন্দোলনের নামে আপনাদের এ ধরণের আচরণে গোটা শিক্ষক সমাজের মানহানি হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে  এমপিওভুক্তির ব্যাপারে চেষ্টা করছি। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় না হওয়া পর্যন্ত কিছুই সম্ভব না, তবুও আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। অর্থমন্ত্রীর হাতে-পায়ে ধরেছি। অনেক চেষ্টায় তিনি কিছুটা নরম হয়েছেন। এমনকি, শিক্ষকদের বৈষম্য নিরসনে অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় যৌথভাবে একটি কমিটি করেছে। এ কমিটি অর্থছাড়ের ব্যাপারে চেষ্টা করছে।

আমি ঢাকায় গিয়ে অর্থমন্ত্রীকে বলবো যশোরের শিক্ষকরা আপনাকে সালাম দিয়েছেন। তাদের ব্যাপারে একটু নজর দেওয়ার আবেদন করেছেন। আপনারা দোয়া করেন যাতে অর্থমন্ত্রীর মন একটু নরম হয়। তাহলেই সব সমস্যা কেটে যাবে। তবে আগামীতে এ ধরণের কাজ পরিহার করার কথা বলেন মন্ত্রী।  


বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা,  সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৭
বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।