ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সান্ধ্য কোর্সের রেগুলার সনদ প্রদানের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ

বেরোবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
সান্ধ্য কোর্সের রেগুলার সনদ প্রদানের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ

বেরোবি (রংপুর): শিক্ষক শিক্ষার্থীদের আপত্তি  থাকা সত্ত্বেও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত চার বিভাগের চলমান সান্ধ্যকালীন এমবিএ (প্রফেশনাল) বা পিএমবিএ কোর্সের রেগুলার এমবিএ'র ন্যায় সার্টিফিকেট প্রদানের নীতিগত  সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর)  পিএমবিএ সার্টিফিকেট চূড়ান্তকরণ রিভিউ কমিটির বৈঠকে এমন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি  দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ছাত্রসংগঠন।

বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী,  এর আগেও পিএমবিএ সান্ধ্যকালীন কোর্সের সার্টিফিকেট রেগুলার এমবিএ সার্টিফিকেটের সমমানের ও একই প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর থেকে জোর আপত্তি জানানো হয় । সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে পিএমবি সার্টিফিকেট চূড়ান্তকরণ রিভিউ কমিটি গঠন করা হয়।  

বুধবার এই কমিটির বৈঠকে সান্ধ্যকালীন পিএমবিএ  ও এমবিএ একই ধরনের সার্টিফিকেট প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  

এদিকে সান্ধ্যকালীন পিএমবিএ শিক্ষার্থীদের রেগুলার এমবিএ মানের সার্টিফিকেট প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার মান রক্ষায় এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা উচিত বলে মত দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রভাবশালী শিক্ষক।

বিবিএ অনুষদের স্নাতকোত্তর অধ্যয়নরত  একাধিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে মেধার পরীক্ষা দিয়ে চান্স পেয়েছি। সান্ধ্যকালীন কোর্সের সার্টিফিকেট আর আমাদের সার্টিফিকেট যদি একই হয় তাহলে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তারা টাকা দিয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স করে। যেখানে আমরা মেধার স্বাক্ষর রেখে পড়াশোনা সম্পন্ন করি। এই নিয়ম চালু করলে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে। আমরা এই সিদ্ধান্ত মানি না।

অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষকরা নিজেদের পকেট গরম করার জন্য সান্ধ্যকালীন কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাথে ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্ক গড়ে তুলেছে ।  এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তারা ক্রেতা তথা টাকাওয়ালা শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন।

বিষয়টি নিয়ে সন্ধ্যায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ফেরদৌস রহমান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের পরিচালকের সাথে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, সামনা সামনি আসলে এ বিষয়ে কথা বলবো।  

এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মোরশেদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে এখনো রেজুলেশন হয়নি।  

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বেরোবি শাখার সভাপতি যুগেশ ত্রিপুরা এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, এটা শিক্ষার  বাণিজ্যিকীকরণকে আরও বেশি উৎসাহিত করবে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হলে আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাব।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ২০,২০১৭
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।