ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বাগেরহাটে সরকারি প্রাথমিকে ৬৫০ শিক্ষকের পদ শূন্য

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৭
বাগেরহাটে সরকারি প্রাথমিকে ৬৫০ শিক্ষকের পদ শূন্য

বাগেরহাট: বাগেরহাটে সরকারি এক হাজার ১৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৫০ জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক ২১৬ ও সহকারী শিক্ষকের ৪৩৪টি পদ শূন্য। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

জেলার সব চেয়ে বেশি ১৮৩ জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে মোড়েলগঞ্জ উপজেলায়। এর মধ্যে ৩৭টি পদ প্রধান শিক্ষকের।

শরণখোলায় শূন্য রয়েছে ৮৬টি পদ। এর মধ্যে ১৪টি প্রধান শিক্ষকের ও ৭৭টি পদ সহকারী শিক্ষকের। কচুয়ায় ৭৭টি শূন্য পদের মধ্যে ২১টি প্রধান শিক্ষকের ও ৫৬টি পদ সহকারী শিক্ষকের। সদর উপজেলায় ৮০টি শূন্য পদের মধ্যে ৪২টি প্রধান শিক্ষক ও ৩৮টি সহকারী শিক্ষকের। ফকিরহাটে ৫৪টির মধ্যে ২৮টি প্রধান শিক্ষকের ও ২৬টি সহকারী শিক্ষকের। মোল্লাহাটের ৪৭টি পদের মধ্যে সাতটি প্রধান শিক্ষকের ও ৪০টি সহকারী শিক্ষকের। রামপালে ৪৪ পদের মধ্যে ২৩টি পদ প্রধান শিক্ষকের ও ২১টি সহকারী শিক্ষকের। মোংলায় ৫০টি শূন্য পদের মধ্যে ৩১টি প্রধান শিক্ষকের ও ১৯টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। চিতলমারীতে ২৮টির মধ্যে ১৩টি পদ প্রধান শিক্ষকের ও ১৫টি শূন্য পদ সহকারী শিক্ষকের।

যেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে, সেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা ও পাঠদান ব্যহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।  

শরণখোলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার বলে, স্যার নেই তাই আমাদের স্কুলে সব ক্লাস হয় না।  

আরেক শিক্ষার্থী রুমানা বলে, স্কুলে স্যার না থাকায় আমরা স্কুলে এসে বসে থাকি।

অভিভাবক ফরিদ খান বলেন, বাচ্চারা বিদ্যালয়ে গিয়ে বসে থাকে। সব বই পড়াতে পারে না শিক্ষকরা। স্কুলে নাকি শিক্ষক কম।

শরণখোলার কুড়িয়াখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুর রব আকন বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষক তো নিয়োগ দেয় সরকার। আমরা কী করবো।

বাগেরহাট সদর উপজেলার মির্জাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মানছুরা খানম চম্পা জানান, তাদের বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় অফিসিয়াল কাজগুলো সহকারী শিক্ষকদের করতে হয়। যার কারণে পাঠদান ব্যাহত হয়।

প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হয় সরাসরি নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে। আর প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের ৩৫% হয় পিএসসির মাধ্যমে এবং ৬৫% হয় সহকারী শিক্ষকদের পদন্নোতির মাধ্যমে। সেদিক দিয়ে পদন্নোতি পাওয়ার যোগ্য অনেক সহকারী শিক্ষক বাগেরহাট জেলায় রয়েছেন। ৬৫% সহকারী শিক্ষক পদন্নোতি পেলে প্রধান শিক্ষকের ২১৬টি পদ পূর্ণ হয়। সে ক্ষেত্রে জেলায় ১৪০ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হবে।

সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, জেলায় শূন্য থাকা সহকারী শিক্ষকের তালিকা আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। শূন্য থাকা প্রধান শিক্ষকের ৬৫% পদ পূরণের জন্য যোগ্য সহকারী শিক্ষকদের তালিকাও পাঠানো হয়েছে। যাচাই বাচাই চলছে। শিগগিরই সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।