ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষক শূন্য বিদ্যালয়, ভেঙে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা  

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৭
শিক্ষক শূন্য বিদ্যালয়, ভেঙে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা  

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এক অফিস আদেশে ডেপুটেশন বাতিল করায় শিক্ষক শূন্য হয়ে পড়েছে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয়। 

গত তিন দিন ধরে বিদ্যালয়ের প্রভাতী শাখার শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।  

এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের শ্রেণী কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চালু রাখতে হলে ডেপুটেশন বহাল রেখে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দুইজন সহকারী প্রধান শিক্ষক ও ৩১ জন সহকারী এবং কর্মচারী পদে নিয়োগ অতি জরুরি বলে মনে করছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেক।

 

তিনি বলেন, শিক্ষাবর্ষের শেষ প্রান্তে শিক্ষক সংকটের কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হবার আশংকা কোনভাবেই কাম্য নয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আমরা আশা করছি।  
  
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিশাখা থেকে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির ক্রমবর্ধমান চাপ নিরসনের লক্ষ্যে ২০১০ শিক্ষাবর্ষ হতে ডাবল শিফট চালুর নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর ২০১১ সালে এ শাখায় পদ সৃজনের জন্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়।  

কিন্তু কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ২০১২ সালের ২৫ এপ্রিল শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক পদ বিভাজন করে প্রজ্ঞাপন জারি হলে ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ডাবল শিফট বিদ্যালয়ে পদ সৃজন করার আদেশ দেয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডাবল শিফটে শিক্ষক নিয়োগে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দফায় দফায় চিঠি চালাচালি হলেও র্দীঘ ৮ বছরেও ডাবল শিফটে কোন পদ সৃজন হয়নি। ফলে বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে ডেপুটেশনে আসা শিক্ষক দিয়েই চলছিল বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম।  

কিন্তু হঠাৎ করেই গত ২ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এক অফিস আদেশে ডেপুটেশন বাতিল করায় শিক্ষক শূন্য হয়ে পড়েছে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয়।

বিদ্যালয়ের সূত্র আরো জানান, বর্তমানে প্রভাতী শাখায় ৬শ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। ডেপুটেশনে আসা ১৩ জন শিক্ষক এ শাখার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন।  

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল মালেক আরো জানান, বিদ্যালয়ের দুইটি শিফট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী একজন প্রধান শিক্ষক ও দুইজন সহকারী প্রধান শিক্ষক সহ মোট ৫৩ জন শিক্ষক প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে প্রধান শিক্ষকসহ মোট শিক্ষক মাত্র ২০ জন।  

ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৭ 
এমএএএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।