শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) পরীক্ষা চলাকালে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে নয় পরীক্ষার্থী এবং এ চক্রের চারজনসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে ১০জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
আটক পরীক্ষার্থীরা হচ্ছেন-সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার বাজারঘাটি গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে জুবায়ের আলম (১৯), একই উপজেলার মশিপুর গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে আবু জোবায়ের মামুন (২০), টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালমেঘা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আমিনুল ইসলাম (২০), কালিহাতী উপজেলার মালতি গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে নাইবুর রহমান (২০), কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের রাশেদুল ইসলামের ছেলে রাফাত বিন রাশেদ (১৯) এবং গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুরের বাবুল পালের ছেলে প্রদীপ পাল (২০)। বাকী তিনজনের নাম জানা যায়নি।
গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার সিংহ বাংলানিউজকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে নয় জনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এ চক্রের আরো চারজনকে আটক করা হয়।
আটকদের কাছ থেকে নয়টি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস, নয়টি ডিভাইসের ব্যাটারি, সাতটি ইয়ারফোন, ডিভাইস ক্যাবল উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ চক্রের অন্যতম হোতা আব্দুল্লাহ আল মামুন পুলিশকে জানিয়েছেন, তিন থেকে চার লাখ টাকা চুক্তিতে তারা ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষার্থীদের বাইরে থেকে উত্তর বলে দিতেন।
পুলিশ জানায়, আটকদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৭/আপডেট:১৮২৬ ঘণ্টা
আরবি/আরএ