রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে অনির্দিষ্টকাল কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেটে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
কর্মচারী সূত্রে জানা যায়, আপগ্রেডেশন, প্রমোশন নীতিমালা প্রণয়ন, ৫৮ কর্মচারীদের নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিতকরণ, নিরাপত্তা শাখার কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন (শুক্রবার ও শনিবার) অথবা ওভারটাইম প্রদান, আপগ্রেডেশন-প্রমোশনের দিন থেকে কর্মচারীদের সার্ভিস সময় হিসেব করাসহ মাস্টাররোলের কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ নিশ্চিতের মৌখিক দাবি রেজিস্টার মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীরকে পেশ করা হয়।
কর্মচারীদের অভিযোগ আপগ্রেডেশন, প্রমোশন নীতিমালা রিভিউ কমিটির আহ্বায়ক রেজিস্টার ইব্রাহীম কবীর গত ৭ ডিসেম্বর নীতিমালা প্রণয়নের দিন ধার্য করেছিলেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। এছাড়াও নিরাপত্তা শাখার কর্মচারীদের ছুটি দুইদিন গত ১৬ জুলাই সিন্ডিকেট ও অর্থ কমিটিতে অনুমোদন দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
কর্মচারীদের এমন ঘোষণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া বন্ধসহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অনেকটা অচলাবস্থা নেমে আসে।
পরে বিকেল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) ফরিদ উল ইসলাম আন্দোলনরত কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও কর্মচারীরা তা মেনে না নিয়ে কর্মসূচি পালন করছেন।
এ বিষয়ে কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নূর আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এসব দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত মেনে নেওয়া না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি পালন করবো। আশ্বাস দিয়ে আর কাজ হবে না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীরের মোবাইলে ফোন দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, কর্মচারীদের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
জেডএস