বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য এ মন্তব্য করেন। বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এনামউজ্জামানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ প্রমুখ।
উপাচার্য বলেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনে আলবদর ও আল শামস বাহিনীর মাধ্যমে তারা (পাকিস্থানীরা) দেশে দু’ভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। প্রথমত, চিরাচরিত নিয়মানুযায়ী (কনভেনশনাল ওয়ে) এবং দ্বিতীয়টি বুদ্ধিজীবী হত্যা (টার্গেট কিলিং)। আর এই দ্বিতীয়টির মাধ্যমে তারা জাতিকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল।
তিনি বলেন, মানুষের বিনাশ হয় কিন্তু বিনাশ হয় না চেতনার। এই চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে যুগ থেকে যুগান্তরে বিরাজমান থেকে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়া ও মুক্তচিন্তার বিকাশের লক্ষ্যে মানুষকে দীক্ষা দিয়ে যায়।
অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ বলেন, পাকিস্থানীরা সর্বপ্রথম এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আক্রমণ করেছিল। বিজয় দিবসের আগের দিন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব বিভাগের শিক্ষক-কর্মচারী-ছাত্র জীবন দিয়েছে তাদের ছবি নিজ নিজ বিভাগে রাখারও পরামার্শ দেন উপ-উপাচার্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
এসকেবি/এএ