সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ওই স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রথম ও চতুর্থ শ্রেণির প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকার লোকজন, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।
এ ঘটনায় সদর উপজেলার ১০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করেছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামিম ভূঁইয়াকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- দিঘাপতিয়া এমকে অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক ও ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম আনোয়ার হোসেন। এই কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার মশিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সোমবার সদর উপজেলার ১০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গণিত পরীক্ষার দিন ধার্য ছিল। এতে প্রায় ৪ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। উপজেলার আগদিঘা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর হাতে লেখা একটি প্রশ্নপত্র বাইরে পাওয়া যায়। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে বাহিরের প্রশ্নপত্রের হুবহু মিলও পাওয়া যায়। এতে স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। এছাড়া জেলা প্রশাসনের নির্দেশে পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।
নাটোর জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বানু বাংলানিউজকে জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাটোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও তদন্ত কমিটির সদস্য একেএম আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ২১ ডিসেম্বর স্থগিত হওয়া পরীক্ষাটি নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
টিএ