শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম শুরু হয়।
বিবিএ বিভাগের পূর্ণ অনুমোদনের দাবিতে গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে রেখেছিলো আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
পরদিন ২১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসে ভাঙা তালা আর ছেড়া ব্যানার দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন সবার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান।
আন্দোলন থামানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অনুরোধ করলে শিক্ষার্থীরা স্ট্যাম্পে লিখিত দিতে বলে, যে কবে অনুমোদন আসবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওদিন শিক্ষার্থীদের কাছে স্ট্যাম্পে লিখিত দেয় যে, আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান হবে। পরে শিক্ষার্থীরা আলোচনায় বসে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) থেকে আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে এর ভিন্নমত পোষণকারীরাও আছেন। বিবিএ বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে পণ্ড করে দেয়। যারা আমাদের ব্যানার ছিড়ে আলোচনায় বসতে চায় তাদের সঙ্গে কিসের আলোচনা, কিসের মিটিং?
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) ক্যাম্পাসের কাছে পুলিশের কড়া অবস্থান শিক্ষার্থীদের দমিয়ে রাখে।
সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসন (বিবিএ) বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ১২ ডিসেম্বর অর্ধদিবস ও ১৩ ডিসেম্বর পূর্ণদিবস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
জিপি