প্রাথমিক তদন্তে প্লেজারিজমের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৫৮তম সভায় রোববার (২৪ ডিসেম্বর) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিন শিক্ষক হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ, সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ-আল-বারী ও এনার্জি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাসান আলী।
সূত্র জানায়, পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের অ্যাকাডেমিক, গবেষণা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে এই তিনজনকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে মিতসুবিসি মটরসের টেকনিক্যাল রিভিউয়ে (নম্বর-১৬) প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রবন্ধের প্রায় শতভাগ নকল করে এই তিন শিক্ষক ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ভলিউম-২ ইস্যু-১) এবং আইসিএমআইএমই ২০১৩ এ দুইটি টেকনিক্যাল পেপার প্রকাশ করেন।
পরে এসব পেপারের বিষয়বস্তু, ফলাফলসহ অন্য লেখকের গবেষণার সঙ্গে মিলের পরিমাণ নিরীক্ষণের জন্য দেশের খ্যাতনামা চারজন গবেষক ও শিক্ষকের কাছে পাঠানো হয়।
এগুলো পর্যবেক্ষণ করে প্লেজারিজমের সত্যতা পান গবেষকরা। এরপরই মূলত অভিযোগটি সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করা হয়।
এদিকে ঘটনা আরও অধিকতর তদন্তের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন-কুয়েট আইআইসিটি-এর পরিচালক প্রফেসর ড. বাসুদেব চন্দ্র ঘোষ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অব এক্সিলেন্সের পরিচালক প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীন ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটের প্রতিনিধি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪ , ২০১৭
এমআর/এমএ