ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

স্কুলে ফল প্রকাশ দেরিতে, ভোগান্তি ওয়েবসাইটে

মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
স্কুলে ফল প্রকাশ দেরিতে, ভোগান্তি ওয়েবসাইটে www.dpe.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্তও ঢোকা যাচ্ছিলো না (স্ক্রিনশট)

ঢাকা: চোখে-মুখে উদ্বেগ নিয়ে ছোটাছুটি করছে ফারহানা আনিকা। তার বান্ধবী মালবিকা ও সোহা মোবাইলের মাধ্যমে রেজাল্ট পেয়ে গেছে। সে এখনও জানতে পারেনি। অসহায় ভঙ্গিতে বান্ধবীদের আনন্দ-উল্লাস দেখছে জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষার ফলপ্রত্যাশী আনিকা।

স্কুলগুলোতে ফল প্রকাশের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও নোটিশ বোর্ডে টানানো হয়নি ফলাফল। অপরদিকে অভিভাবকরা বারবার নির্দেশিত ওয়েবসাইটে ঢুকেও কোনো দিশ পাচ্ছিলেন না।

কেউ কেউ ওয়েবসাইটেই ঢুকতে পারছিলেন না। এতে আনিকার মতো ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের দুঃশ্চিন্তায় ক্ষণ গুনতে দেখা যায়।  

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর রাজধানীর মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের বালিকা শাখায় এমনই দুঃশ্চিন্তা আর ভোগান্তিতে সময় কাটে আনিকাদের।  

মনিপুর স্কুলে দুপুর ২টায় ফলাফল প্রকাশের কথা থাকলেও পৌনে ৩টায় নোটিশ বোর্ডে ও দেয়ালে তা সাঁটানো হয়। মোবাইল ও ওয়েবসাইটে বারবার চেষ্টা করেও যারা ফল পাচ্ছিলো না, তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ে বোর্ড ও দেয়ালে।  

ফলাফল প্রকাশে দেরি হওয়ায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অসন্তোষ এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কয়েকজন অভিভাবক বেশ ক্ষোভও প্রকাশ করেন।

জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে স্কুলগুলোকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ির ফল www.dpe.gov.bd এবং http://dperesults.teletalk.com.bd থেকে সংগ্রহ করতে বলা হয়। আর 
জেএসসি-জেডিসির ফল পেতে www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে ঢুকতে বলা হয়। পাশাপাশি শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট থেকেও ফলাফল পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়।

কিন্তু দুপুর ১টা থেকে ৩টা পযর্ন্ত বারবার চেষ্টা করেও একটা ওয়েবসাইটে পর্যন্ত ঢুকতে পারেনি মনিপুর স্কুল কর্তৃপক্ষ। একটা সময় জেএসসির ফল ওয়েবসাইটে পাওয়া যেতে থাকলেও পিইসির কোনো ওয়েবসাইটেই ঢোকা যায়নি। পরে শিক্ষা অফিসারের (টিও) কার্যালয় থেকে ফলাফলের হার্ডকপি এনে নোটিশ বোর্ড ও দেয়ালে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের অনলাইন থেকে ফল সংগ্রহের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। এর জন্য দু’টি ওয়েবসাইটও আছে। আমরা অনলাইন থেকে বারবার চেষ্টা করেছি ফল বের করতে, কিন্তু সম্ভব হয়নি। আমাদের আইটি ইঞ্জিনিয়ার তিন ঘণ্টা চেষ্টা করেছেন। পরে টিও অফিসের শরণাপন্ন হয়েছি।

তাৎক্ষণিকভাবে অনলাইনে রেজাল্ট শিট পেলে শিক্ষার্থীদের বাড়তি টেনশন করতে হতো না। অনলাইনে রেজাল্ট সংগ্রহ ভালো উদ্যোগ। তবে ওয়েবসাইটে ফল না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হয়েছে বলে মনে করেন অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন।

ওয়েবসাইটে ফল না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন রফিকুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাচ্চারা ফলাফলের জন্য বাড়তি টেনশন করে। রেজাল্ট দেরি হওয়ায় টেনশনে আমার মেয়ে তো কান্না করছিলো। পরে পাবনা থেকে ফোনে আমার এক আত্মীয় রেজাল্ট জানালো।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
এমসি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।