বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে রূপগঞ্জের পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ'র স্থায়ী ক্যাম্পাসে তৃতীয় সমাবর্তনে একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
সমাবর্তনে বিভিন্ন বিভাগের ১ হাজার ৪৬১ জন শিক্ষার্থীকে সদন দেওয়া হয়।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনারা দেশের বাস্তবতা ও জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফি নির্ধারিত সীমার মধ্যে রাখবেন।
সমাবর্তনে স্নাতকদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সম্ভাবনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন, নিজেদেন মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতা কাজে লাগিয়ে তোমাদেরই সেই প্রয়োজন পূরণ করতে হবে। কারণ তরুণ প্রজন্মের কার্যক্রমের উপরই মাতৃভূমির উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি নির্ভর করেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা যে কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছি তার মধ্যে একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ। নিজস্ব ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সমাবর্তনের আনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য গ্রিন ইউনিভার্সিটিকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এখনও নিজস্ব কোনো ক্যাম্পাস নেই। তারা ইউজিসির নিয়ম মানছেন না। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
সমাবর্তন বক্তা ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ বলেন, সমাবর্তনের মাধ্যমে তোমরা গ্র্যাজুয়েশন শেষ করছো, তবে ছাত্রজীবন বা শিক্ষাজীবন নয়, বরং এর মাধ্যমে শিক্ষাজীবনের নতুন আরেকটি অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছ। যেখানে বইয়ের পাশাপাশি কর্মজীবন-কর্মস্থল ও প্রকৃতি থেকে শিক্ষা নেবে।
বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার নিয়ে অনেকটা সচেতন গ্রিন ইউনিভার্সিটি। এরজন্য ইউএস-বাংলা গ্রুপের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী গ্রুপটিতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে চাকরি পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
তিনি বলেন, গ্রিন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে, বাকিটুকুও শিগগিরি শেষ হবে।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. গোলাম সামদানি ফকির, উপ-উপাচার্য মোহাম্মদ ফৈয়াজ খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
এসজেএ/এএ