এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট কেবল তারাই ভোট দিতে পারবেন।
সরকারি-বেসরকারিসহ রাজধানীর অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটরা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ নিয়ে লড়ছে ‘গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ’। অপরপক্ষ রয়েছে জাতীয়তাবাদী পরিষদ ও প্রগতিশীল পরিষদ।
এ তিন পরিষদের মধ্যে ‘গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ’ প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে। এ পরিষদে রয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা, যারা বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ কাজ করবে বলে জানিয়েছেন এ পরিষদের প্রার্থীরা।
গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের প্রার্থীরা হলেন- অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, এআরএম মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, এএইচএম এনামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, এবিএম বদরুদ্দোজা, অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, মুক্তিযোদ্ধা এম. ফরিদ উদ্দিন, অধ্যাপক ড. এমরান কবীর চৌধুরী, এসএম বাহালুল মজনুন চুন্নু, অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, অধ্যাপক ড. তাজিন আজিজ চৌধুরী, নিজাম চৌধুরী, মিসেস মাহফুজা খানম, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবদুস সামাদ (কবি মুহাম্মদ সামাদ), অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল বারী, সিনিয়র ব্যাংকার মো. আতাউর রহমান প্রধান, অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, মো. আলাউদ্দিন, মো. নাসির উদ্দিন, ড. মো. লিয়াকত হোসেন মোড়ল, রঞ্জিত কুমার সাহা, রামেন্দু (কৃষ্ণ) মজুমদার, অধ্যাপক শরীফ আহমদ সাদী, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এবং অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার।
জানা যায়, ২০ জানুয়ারি (শনিবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ১ থেকে ১৮ হাজার (যারা আজীবন সদস্য), ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ১৮ হাজার ১ থেকে ৩৭ হাজার ২৩৩ (যারা আজীবন সদস্য) এবং শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র ৩৭ হাজার ২৩৪ থেকে ৪৩ হাজার ৯৯৭ পর্যন্ত (এককালীন সদস্য) নম্বরের ভোটগ্রহণ হবে। কোনো ভোটার ২৫টির বেশি ভোট দিলে তার সব ভোট বাতিল হবে।
ঐক্য পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ৭ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিয়ে এ পরিষদ মাঠে নেমেছে। এর মধ্যে গণতান্ত্রিক আদেশ ১৯৭৩ অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখা, সিনেটের মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া, শিক্ষা ও গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়ে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করা, নতুন যুগোপযোগী বিভাগ, গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নতুন হল নির্মাণ, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন, উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেটসহ অন্য সুযোগ-সবিধা বাড়ানো, প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, ডাকসু নির্বচানের উদ্যোগ নেওয়া এবং সিনেটে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বছরে দু’টি সিনেট অধিবেশন আহ্বান করা।
গত নির্বাচনের (২০১৩ সালে) বিজয়ী হয়েছিল ‘গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
এএ