শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে শোভাযাত্রা শুরু করা হয়।
পরে শোভাযাত্রাটি ড. সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের পাশ দিয়ে কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে দিয়ে এসে অদম্য বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. আয়েশা আশরাফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।
তিনি পুনর্মিলনী উপলক্ষে আগত সব গ্রাজুয়েট ও তাদের পরিবারের সদস্যদের তার নিজের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে স্বাগত জানান।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন ২০ বছর অতিক্রম করেছে। আমাদের গ্রাজুয়েটরা দেশ-বিদেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। আধুনিক বিজ্ঞান হিসেবে কেবল বর্তমান দিনেই নয়, বায়োটেকনোলজি অনাগত দিনেও মানুষের কল্যাণে প্রভুত কাজে আসবে। সে অর্থে আমাদের গ্রাজুয়েটরা দেশ-বিদেশে এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং ভবিষ্যতেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। তিনি পুনর্মিলনীর আয়োজনের মাধ্যমে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে জোরদারের আহ্বান জানান।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে কোয়ালিটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে নানামুখি প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে অ্যালামনাইরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি তাদের প্রতি এ ডিসিপ্লিনের উন্নয়নের জন্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য অবদান রাখার আহ্বান জানান।
পরে উপাচার্য দু’দিনব্যাপী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জীব বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর এ কে ফজলুল হক। পুনর্মিলনী কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. মুরসালীন বিল্লাহ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিসিপ্লিনের সিনিয়র প্রফেসর ড. মো. রায়হান আলী। পরে পরিচিতি অনুষ্ঠান ও অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন আয়োজনে দেশ-বিদেশ থেকে আসা গ্রাজুয়েট ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয়েছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে ক্যাম্পাস এখন উৎসবমুখর।
১৯৯৫ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। এ পর্যন্ত ১৭টি ব্যাচের প্রায় ৪৮৪ জন উত্তীর্ণ গ্রাজুয়েট প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিসে এবং অন্যান্য সরকারি, বেসরকারি, বহুজাতিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজি শিক্ষা ও গবেষণাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ ডিসিপ্লিনের গ্রাজুয়েটরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮
এমআরএম/জেডএস