বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে টানা অনশন পালন করছেন শিক্ষকরা। অনশনে এরইমধ্যে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) আন্দোলনের ১৪তম দিনে সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কের অর্ধেকজুড়ে দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে দেখা যাচ্ছে শিক্ষকদের। এ কারণে সড়কের ডানপাশে যান চলাচল সীমিত হয়ে গেছে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম রনি বলেন, প্রেসক্লাবের সামনে গত ১০ জানুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এরপর গত ১৫ জানুয়ারি থেকে আমরণ অনশনে রয়েছি। এতেও সরকারের টনক নড়েনি।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ২৭ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার সবগুলোকেই জাতীয়করণ করতে হবে। অনশনরত শিক্ষকদের ২০০ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে ২০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ফের আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। শতাধিক অসুস্থ শিক্ষককে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে।
বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মহাসচিব কামাল হোসেন বলেন, চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আমাদের অনশন চলছে। দেশে এখনও চার হাজার ১৫৯টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ বাকি রয়েছে। এগুলোও জাতীয়করণ করতে হবে। দাবি আদায়ে আমরণ অনশন কার্যক্রম চলবে।
অপরদিকে এমপিওভুক্ত সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের ডাকা ধর্মঘট চলছে। এর আগে দু’দিন সারাদেশে ধর্মঘট পালন করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৮
এসএ/জেডএস