চলতি বছর ৩ হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ জন ছাত্র এবং ছাত্রীর সংখ্যা ১০ লাখ ৮ হাজার ৬৮৭ জন।
পরীক্ষার প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র, সহজ বাংলা প্রথমপত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংষ্কৃতি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ বিষয়ের পরীক্ষা চলছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ধানমন্ডিতে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। আর শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী মোহাম্মদপুরে কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া কামিল মাদ্রাসা ও শ্যামলী আইডিয়াল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
সম্পূর্ণ নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের যাবতীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে মন্ত্রণালয়। পরীক্ষার দিনগুলোতে সীমিত সময়ের জন্য ফেসবুক বন্ধ রাখা হবে কি হবে না- তা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবে বিটিআরসি। প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তায় মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
কেন্দ্রসচিব ব্যতীত অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। কেন্দ্রসচিব ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
শিক্ষা বোর্ডসমূহের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সাথে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এর ফলে কেন্দ্রগুলোর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে।
১ ফেব্রুয়ারি শরু হওয়া তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা ২৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা এবং বিকেলে ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৪ মার্চ শেষ হবে।
এ বছর সারাদেশে অভিন্ন ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবার বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়সমূহ এনসিটিবি’র নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সাথে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর অনলাইনে বোর্ডে প্রেরণ করবে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা প্রদানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
এমআইএইচ/এমজেএফ