চলমান এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা বিষয়ে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় মনিটরিং এবং আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির জরুরি সভার শুরুতে তিনি এ প্রস্তাব করেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে সভায় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন।
এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, আইসিটি বিভাগ, পুলিশ, র্যাব এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদেরও ডাকা হয়েছে। এছাড়াও ডাক পেয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান ও এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের) মহাপরিচালক।
সভার শুরুতে কিছু প্রস্তাব করে সোহরাব হোসাইন বলেন, প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেলে শিক্ষামন্ত্রী এবং আমি বলেছি পরীক্ষা বাতিল হবে। এ বিষয়টি নিয়ে বিশাল চাপ।
আগামী পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস বা এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সচিব। তিনি বলেন, কোনো শিক্ষক বা কারও কাছে কেন্দ্রে মোবাইল ফোন পেলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর আধঘণ্টা পর কেন্দ্রে ঢুকতে আর কোনো শিথিলতা গ্রহণ করা হবে না। প্রশ্নফাঁসের পোস্ট দিলে জড়িতদের ধরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সচিব বলেন, ফেসবুকে যদি কেউ পোস্ট দেয়, সেটি আসল বা ভুয়া হোক, তাকে প্রমাণসহ ধরিয়ে দিতে পারলে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা দেওয়া যায় কি-না? এতে যিনি দেবেন, তিনিও ভয় পাবেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব কোনো পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হলে সেটির পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করে পরীক্ষা বাতিলের বিষয়টি আলোচনায় আনেন।
এছাড়া আগামীতে এমসিকিউ প্রশ্ন পুরোপুরি বন্ধ করা, প্রয়োজনে ৫০ সেট প্রশ্ন তৈরি করে পরীক্ষা গ্রহণ, শিক্ষাবিদদের নিয়ে সেমিনার করে প্রশ্ন ফাঁসরোধে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রস্তাবনা দেন সোহরাব হোসাইন।
বেলা সোয়া ৩টার দিকে বৈঠক শুরু হলে সচিবের বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের বের হয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে নিজেদের মধ্যে আলাচনা শুরু করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৮
এমআইএইচ/এইচএ/
** প্রশ্ন ফাঁসরোধ: জরুরি বৈঠকে সরকার