পরে তা বাতিল করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল।
পরে বেলা ৩টার দিকে ভিসি ও সিনেট সদস্যরা সিনেট অধিবেশনে যোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে আসেন ও আন্দোলনকারীদের সিনেট অধিবেশন করতে দেওয়ার অনুরোধ জানান।
এসময় আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে না পেরে উপাচার্য ফিরে যান।
ফিরে যাওয়ার সময় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বাজেট পাস হওয়া নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। আমরা ২৯৩ কোটি টাকা চেয়ে ইউজিসি থেকে ২৩৩ কোটি টাকা পেয়েছি। এটা বিধিমতে উপাচার্যের বিশেষ ক্ষমতাবলে পাস হয়ে যাবে।
এসময় তিনি ঘোষণা দেন, ‘আগামী ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে। ’
এদিকে সিনেট অধিবেশন পণ্ড হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপাচার্য সমর্থক আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষক পরিষদ’।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ও মানবিকী অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই প্রতিবাদ জানান তারা।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সদস্য সচিব অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, দীর্ঘ ১৯ বছর পর রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে বিজয়ী সদস্যদের এই বার্ষিক সভায় অভিষিক্ত হওয়ার কথা। তাছাড়া শিক্ষক ও অন্যান্য প্রতিনিধি সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী পরিষদের সিনেট সদস্যদের জন্য এই হঠকারী সিদ্ধান্ত অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ও রীতি পরিপন্থি। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেট অনুমোদনের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. নুরুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. ফরহাদ হোসেন, অধ্যাপক রাশেদ আখতার, অধ্যাপক এ এ মামুন, অধ্যাপক মো. আব্দুল্লাহ হেল কাফি, অধ্যাপক সোহেল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৮ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৮
এমএ/