সোমবার (২ জুলাই) বেলা সোয়া ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীরা এ বিক্ষোভ করেন। তবে স্লোগান শুরু করার একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ফের তাদের মারধর করে ব্যানার নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনরতরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কোটা আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুখ হাসানসহ নেতাকর্মীরা কর্মসূচিস্থলে অবস্থান নেন। এসময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানী, বঙ্গবন্ধু হল শাখার সাধারণ সম্পাদক আল আমিন রহমানসহ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও হল শাখার নেতাকর্মীরা মহড়া দেন। একপর্যায়ে পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুখকে মারধর করে তারা থানায় নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন অন্য নেতাকর্মীরা।
এ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে প্রথমে তারা কথা বলতে চাননি। পরে ছাত্রলীগের মুহসীন হলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল তারা পতাকা মিছিল করবে, সঙ্গে থাকা লাঠি হামলার কাজে ব্যবহার করবে। এজন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে বাধা দিয়েছি।
আন্দোলনকারীদের যুগ্ম-আহ্বায়ক লুৎফর নাহার নীলা বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রলীগ মিডিয়ার সামনে হামলা করেছে। তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। আমরা প্রজ্ঞাপন চাই। প্রজ্ঞাপন দিলে আমরা আর আন্দোলন করবো না। পরবর্তী কর্মসূচি সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৮
আরবি/