শনিবার (১৪ জুলাই) ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ৬২ শিক্ষার্থী সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতি পাঠিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে দমন-পীড়নের ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক।
‘এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ জুন আন্দোলনকারীরা প্রেস কনফারেন্স করতে গেলে বিনা উস্কানিতে আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়কসহ আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে নির্মমভাবে মারধর ও নির্যাতন করা হয়। এমনকি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া থেকেও প্রতিহত করা হয়। এতে দমন-পীড়ন এবং নেতাদের জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ’
বহির্বিশ্বে এসব ঘটনা বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে উল্লেখ করে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রত্যেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকের জন্য নিরাপদ আশ্রয়। শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে ক্যাম্পাসে দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করা জরুরি। আমরা সরকারকে দ্রুত চলমান অবস্থার যৌক্তিক সমাধানের আহ্বান জানাই এবং একই সঙ্গে সব আক্রান্ত শিক্ষার্থীর অবিলম্বে সুচিকিৎসা, গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া এবং যারা এসব বর্বরোচিত হামলা করেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। ’
বিবৃতি দেওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- অনির্বাণ ইসলাম, ইউনির্ভাসিটি অফ লাইপসিস, জার্মানি; ফয়সাল বিন তৌহিদ সিদ্দিকী, গেন্ট ইউনিভার্সিটি, বেলজিয়াম; মেহজাবিন হোসেন, ইরাস্মাস ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার, নেদারল্যান্ডস; পারভেজ আলম, ইউনিভার্সিটি অফ আমস্টার্ডাম, নেদারল্যান্ডস; মো. তসলিম মাহমুদ, মনাশ ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়া; আবু আশিক মো. ইরফান, ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৮
এসকেবি/জিপি