শনিবার (১৪ জুলাই) সকালে বাগেরহাট সদর উপজেলার বিএসসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা শুরু হয়নি। সময়সূচি অনুযায়ী সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় পৌনে ১১টায়।
এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঝিমি মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় যশোর বোর্ডের অনলাইন প্রশ্ন ব্যাংক থেকে প্রশ্ন ডাউনলোড করতে বিলম্ব হয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের নিজস্ব ফটোকপি মেশিন না থাকায় এ সমস্যা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৩০০ প্রশ্ন ফটোকপি করতে অনেক সময় লাগে। সব প্রকার লজিস্টিক সাপোর্ট থাকলে আমরা সঠিক সময়ে পরীক্ষা নিতে পারবো, পাশাপাশি শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিপাবে।
শহরের শালতলা মোড়স্থ আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ১০টা ৫৫ মিনিটে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এখানেও ১০টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হরিচাঁদ বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ৮টা, সাড়ে ৮টা ও ৯টা থেকে প্রশ্ন ডাউনলোড শুরু করে সব প্রশ্ন ডাউনলোড করতে প্রায় সাড়ে ৯টা বেজে গেছে। বাইরে ফটোকপির দোকানগুলো দেরিতে খোলার কারণে প্রায় ৪শ’ কপি প্রশ্ন ফটোকপি করার কারণে পরীক্ষা নিতে বিলম্ব হয়েছে। তবে বিদ্যালয়ের নিজস্ব এসব ব্যবস্থাপনা থাকলে এ ধরনের বিলম্ব হতো না।
মিতু দাস, আজম শেখ নামে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, বাড়ি থেকে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা দিতে পারছি না। মানসিকভাবে চিন্তিত থাকার ফলে আমাদের প্রস্তুতি অনুযায়ী ভাল পরীক্ষা দিতে পারিনি।
বাগেরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, জেলায় ৩২০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসবের মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যা প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলে অবস্থিত। তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিগত সাপোর্ট প্রয়োজন দরকার। সরকারের এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে সব প্রতিষ্ঠানকে প্রযুক্তিগতভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা প্রয়োজন।
বাগেরহাটের বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বাংলানিউজকে বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে যশোর বোর্ডের অনলাইন প্রশ্ন ব্যাংক থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করে সকল বিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা নিতে বলা হয়েছে। সেই অনুযায়ী বোর্ডের অধীনে ২ হাজার ৭০০ বিদ্যালয়ে যশোর বোর্ডের প্রশ্নে পরীক্ষা চলছে। তবে কিছু কিছু বিদ্যালয়ে সমস্যা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি শিক্ষক অভিভাবক ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সহায়তায় এ প্রযুক্তিগত সুবিধার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৮
এনটি