বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার হল পরিদর্শন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার সঙ্গে পাঁচটি মন্ত্রণালয় জড়িত।
এসময় শিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক মো. জিয়া উদ্দিন, কারিগরি মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন ভূঁইয়া, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ হাফিজুল ইসলাম ও মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুন নাহার শাহীন উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থী বাড়ছে আর ঝরে পড়া কমছে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, সব বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে আসার জন্য ১০ বছর আগে এই পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষায় বই দেওয়া এবং ৪০ শতাংশ ছেলেমেয়ের বৃত্তি দেওয়ার পাশাপাশি মানুষের সচেতনতাও বাড়ছে। ফলে শিক্ষার্থী বাড়ছে আর ঝরে পড়া কমছে।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এবছর মোট ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ জন। তার মানে এক বছরে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ লাখ ১ হাজার ৫১৩ জন। অর্থাৎ ঝরে পড়া কমছে, শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, সব দেশেই ঝরে পড়ার সংখ্যাটি রয়েছে। কোথাও কম কোথাও বেশি। কিন্তু আমরা গত ১০ বছরে শিক্ষার সার্বিক ক্ষেত্রে যে অর্জন করেছি তার কোনো তুলনা নেই।
ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বেশি এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা ২ লাখ ২২ হাজার ৮২২ জন। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েও মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়ছে।
নির্বাচন কমিশন বলেছে-আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সব ধরনের পরীক্ষা শেষ করতে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের পাবলিক পরীক্ষা আর থাকছে না, এটাই শেষ। তিনি বলেন, রেগুলার রুটিনে সর্বশেষ পরীক্ষার তারিখ দেওয়া হয়েছে ১০ ডিসেম্বর। সুতরাং এর মধ্যেই সব পরীক্ষা শেষ হবে।
পরীক্ষার পরিবেশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবারের পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে। ঠিক আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম সেভাবেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৮
এমএফআই/আরআর