দিনের প্রথম শিফটে সকাল সাড়ে ৯টায় ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে এ বছরের ভর্তিযুদ্ধ।
পরে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দ্বিতীয়, দুপুর ২টা থেকে ৩টায় তৃতীয় শিফট এবং বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চতুর্থ শিফটে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৫নভেম্বর) দিনের প্রথম ও দ্বিতীয় শিফটে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভূক্ত ‘সি’ ইউনিট এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শিফটে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদভূক্ত ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বছর ২ হাজার ২৭৫টি আসনে ৪৮ হাজার ৭১৮ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন। প্রতি আসনে ২১ জন আবেদনকারী ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করবেন। আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় অধিকতর মেধা যাচাইয়ের জন্য এমসিকিউ এর পাশাপাশি ২০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ।
ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভর্তি পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ। তিনি বলেন, আমাদের বাহ্যিক সব কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জালিয়াতি চক্র প্রতিহত করতে গোয়েন্দাসহ বিভিন্ন বিভাগ কাজ করছে।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি ঠেকাতে প্রথমবারের মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর পাতায় আবেদনকারীদের ছবি সংযুক্ত করেছে প্রশাসন। ফলে প্রক্সি দেয়ার চেষ্টা করলেও অপরাধীরা সহজেই ধরা পড়বে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতবছরের মতো এবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে গেট। এছাড়াও পরীক্ষার হলের বাইরে জালিয়াতি চক্রদের অপতৎপরতা ঠেকাতে সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস সিসি টিভির আওতাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বাংলানিউজকে বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুন্দর ও স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানে আমরা সমবেতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ভর্তি পরীক্ষায় যে কোনো ধরনের দুরভিসন্ধিমূলক অপতৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আশা করছি একটি স্বচ্ছ পরীক্ষা নিতে সক্ষম হবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৮
আরএ/