প্রথম কমিটিতে তরীর প্রতিষ্ঠাতা শরফুদ্দিন মুহাম্মদ আবু ইউসুফকে সভাপতি ও সোহেলুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
শুক্রবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে তরীর উপদেষ্টা, সাবেক ও বর্তমান স্বেচ্ছাসেবীদের অংশগ্রহণে এক আলোচনা সভা শেষে অ্যালামনাই কমিটি গঠন করা হয়।
অ্যালাইমনাই কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সিনিয়র সহ সভাপতি সাজেদুর রহমান সজিব, সহ সভাপতি এস কে ফয়সাল আহমেদ, সহ সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিক হোসেন, দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মো. আবু সায়ের আল আরাবী, জোবায়দাতুল মদিনা রেখা ও জাকিউল ইসলাম।
এর আগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তরীর দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তরীর প্রধান উপদেষ্টা, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক ও আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ।
পরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে অমর একুশের সামনে এসে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বহন করে তরীর শিশুরা।
এদিকে শোভাযাত্রা শেষে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের সড়কের পাশে তরীর উদ্যোগে নিম, পেয়ারা, শিউলিসহ ১০টি গাছের চারা রোপণ করা হয়।
এরপর সাড়ে ১১টা থেকে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া চত্বরে শিশুদের বিভিন্ন খেলাধুলা, সাবেক ও বর্তমান স্বেচ্ছাসেবকদের মোরগ লড়াই এবং বালিশ বদল, বল নিক্ষেপ খেলার আয়োজন করা হয়।
পরে দুপুর ২টায় জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে আলোচনা সভার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। আলোচনা সভায় তরীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরাসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।
সভাপতিত্ব করেন তরীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শরফুদ্দিন মোহাম্মদ শান্ত। সভা শেষে শিশুদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে। সবশেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এ আয়োজনে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল কালের কণ্ঠ, চ্যানেল ২৪, বাংলানিউজ ও রেডিও ক্যাপিটাল। এছাড়া দিনব্যাপী ইস্পাহানি চা'র উদ্যোগে চা পরিবেশন করা হয়।
‘আলোর পথে আমরা’ স্লোগানে ২০০৮ সালের ২৯ এপ্রিল জাবি ক্যাম্পাসে পথচলা শুরু হয় তরীর। ক্যাফেটেরিয়া চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী তরুণ-তরুণীদের হাতে গড়ে ওঠে তরী। সুবিধাবঞ্চিত, দরিদ্র, অসহায়, ছিন্নমূল ও পথশিশুদের পাঠদানের মাধ্যমে শুরু হলেও বর্তমানে তরী শিশুদের খাতা, কলম, ব্যাগ, স্কুলের পোশাক, শীতের পোশাক ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৮
এএটি