বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে অভিযুক্ত ওই দোকানিকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও দু’জনকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের স্পন্দন কম্পিউটার দোকানের মালিক মামুন, ও ভাই ভাই কম্পিউটার দোকানের মালিক আরিফ হোসেন ও রফিকুল ইসলাম।
জানা গেছে, সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) থেকে বিসিএস ফরম পূরণের ক্ষেত্রে সাধারণ প্রার্থীদের আবেদনের জন্য ৭০০ টাকা এবং প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য ১০০ টাকা ফরমের দাম নির্ধারণ করা হয়। মামুনের দোকানে প্রতিদিনই ২৫-৩০ জনের মতো শিক্ষার্থী বিসিএস পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে আসতেন। ফরম পূরণে দীর্ঘ সময় দরকার হয়, এমন অজুহাতে তিনি আবেদনকারীদের রোল/রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও আবেদন বাবদ ৭০০ টাকা রেখে পরদিন প্রবেশপত্র সংগ্রহ করে নিয়ে যেতে বলেন।
পরে মামুন ওয়েবসাইটে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় তথ্য দেওয়ার আগে একটি নকল আবেদনপত্রের কপি বের করে প্রার্থীদের দেন। এরপর তিনি আবেদনকারীদের প্রতিবন্ধী দেখিয়ে ওয়েবসাইটে তাদের ফরম পূরণ করে আবেদন বাবদ ১০০ টাকা জমা দেন। এভাবে প্রতারণা করে তিনি প্রায় সাড়ে ৩০০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৬০০ করে প্রায় দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
ভুক্তভোগী আবেদনকারীরা জানান, বুধবার (১৪ নভেম্বর) রাতে এক আবেদনকারী তার প্রবেশপত্রের সঙ্গে মোবাইলে আসা ইউজার আইডি কোডের সঙ্গে প্রবেশ পত্রের মিল না থাকায় বিষয়টি তার এক বন্ধুকে জানায়। পরে তারা বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তাদের একই সমস্যা দেখতে পান। পরে বৃহস্পতিবার সকালে তারা মামুনের দোকানে এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে খবর দেয়। প্রক্টর মামুনকে আটক করে দফতরে নিয়ে যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি নজরে না আসলে অসংখ্য শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তায় পড়ে যেতো। আমি বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে পিএসসি-তে যোগাযোগ করেছি। তারা শিক্ষার্থীদের পুনরায় আবেদন করার সুযোগ দিয়েছে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, প্রক্টর দফতর থেকে অভিযুক্ত মামুনকে আটক করা হয়েছে। তবে, এখনও কেউ মামলা করেনি। মামলা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
এসআরএস