শনিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল আলমকে সঙ্গে নিয়ে ওই স্কুলে তদন্তে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তদন্ত শেষে ১৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেন ইউএনও।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এস এম আব্দুল কাদেরের কাছে অভিযোগ করেছিলেন পরীক্ষার্থীর অভিভাবকেরা। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফরম পূরণের নামে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে বিষয়টি জেলা প্রশাসকের নজরে আসে। এরপরই জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টির তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত ২২ নভেম্বর ইউএনও লিটন সরকারকে নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।
এবার পুরান তাহিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট ১১৮ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। আর এই ১১৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে নির্বাচনী পরীক্ষায় পাস করে মাত্র ১৯ জন। যারা ফেল করে তাদের কাছ থেকে অস্বাভাবিক হারে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। কিন্তু কোনো পরীক্ষার্থীকেই রশিদ দেওয়া হয়নি। তদন্তকালে স্কুলের নথিপত্র ঘেঁটে সত্যতা পান ইউএনও। পরে তাদের অতিরিক্ত টাকা শনিবার ফেরত দেওয়া হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ইউএনও এবং শিক্ষা কর্মকর্তা তা পরীক্ষার্থীদের বুঝিয়ে দেন।
ইউএনও লিটন সাংবাদিকদের বলেন, স্কুলটির এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সবার কাছ থেকেই বোর্ডের নির্ধারিত টাকার চেয়ে বেশি আদায় করা হয়েছে। তাই তাদের টাকা ফেরত দেওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
এসএস/আরবি/