আটরা হলেন- হারুনর রশিদের ছেলে নাইমুল ইসলাম, জামসেদ আলীর ছেলে উজ্জ্বল মোহাম্মাদ, আব্দুল কাদেরর ছেলে রিয়াদুল জান্না রিয়াদ, সাইদুল ইসলামের ছেলে রিফাতুল ইসলাম, লিয়াকত আলীর ছেলে সাগর সরকার। তারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সাক্ষাৎকার শুরু হয়। এসময় সাক্ষাৎকার বোর্ডে সন্দেহ ভাজন বেশ কিছু ছাত্রের বিভিন্ন কাগজ ও প্রবেশ পত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে ছবিসহ বিভিন্ন জালিয়াতি ধরা পড়ে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রত্যেকের অভিভাবক ডেকে তাদের কাছ থেকে লিখিত মুচলেকা নিয়ে ওই ছাত্রদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানা যায়, আটক ছাত্ররা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। আটকের পর তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর সামনে হাজির করা হলে তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করে নেয়। প্রাথমিকভাবে ২০ জনকে সন্দেহ হলেও জিজ্ঞাসাবাদে পাঁচ জন জালিয়াতির কথা স্বীকার করে। তারা জানায়, টাকার বিনিময়ে এই কাজ করতে এসেছিল। প্রতি ছাত্রের কাছ থেকে তারা ২০ থেকে ৩০ হাজার করে টাকা করে নিয়েছে চক্রটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. প্রতীম কুমার দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, লিখিত মুচলেকা নিয়ে তাদের ভর্তি বাতিল করার সুপারিশ জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ভর্তি পরীক্ষার কমিটি প্রত্যেকটা বিষয় খতিয়ে দেখছেন। কোনো ধরনের অনিয়ম করা সুযোগ নেই।
এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরণের জালিয়াতি করে আসছে। এ ঘটনায় সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা বলছেন, মৌখিক সাক্ষাৎকার পরীক্ষায় যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে, তা হলে ভর্তি পরীক্ষায় কি হয়েছে? আর এ চক্রকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেনো ছেড়ে দিলো? তারা এর প্রতিকার চায় এবং একটি তদন্ত কমিটি করে জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮
জিপি