ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার বিচারের দাবি

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
জাবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার বিচারের দাবি প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: মাদকাসক্ত অবস্থায় মারধরের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীনের বিচারের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দিনগত রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে কর্মচারীরা অবস্থান নিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ প্রশাসনের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন মাদকাসক্ত অবস্থায় উচ্চ গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় শাহিনের মোটরসাইকেলের লাইটের আলো চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি পদপ্রার্থী শরীফের চোখের উপর ধরে রাখে। শরীফ তখন এমন করছেন কেন, সমস্যা কি জিজ্ঞাসা করলে শাহীন গালিগালাজ করে চলে যান। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখা কর্মকর্তাদের নিয়ে শরীফ ও তার ভাই আরিফ এবং কর্মচারী জামালকে মারধর করেন।

এ বিষয়ে শরীফ অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন মাদকাসক্ত অবস্থায় আমাকে ও আমার ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়ে দুটি মোবাইল ফোন ও ৩৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি কাজ শেষে বিশমাইল থেকে আসছিলাম। আমার মোটরসাইকেলের লাইট শরীফ ও জামালের চোখে পড়ে। তখন তারা উত্তেজিত হয়ে যান এবং গালিগালাজ করতে থাকে। তখন আমি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ডাকলে  তারা পালিয়ে যান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।