মারধরের শিকার দুই সাংবাদিক হলেন- দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি ও বেরোবি সাংবাদিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ আল আমীন হোসেন ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বেরোবি প্রতিনিধি ও বেরোবি সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সৌম্য সরকার।
মারধরের শিকার দুই সাংবাদিক জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ওই হলে দুইটি আসন বৈধভাবে বরাদ্দ দেওয়া হলেও হল প্রশাসন সিট দুইটি ফাঁকা করে দিতে পারেনি।
পরে কথামত তারা সিটে উঠতে গেলে প্রথমে সৌম্য সরকারকে কোনো কথা ছাড়াই মারধর শুরু করেন ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান জয়। পরে তাকে সিঁড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এসময় আল আমীন এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর শুরু করেন জয়ের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন। তাকে তিনতলা থেকে নিচতলা পর্যন্ত অনবরত মারধর করেন তারা। এসময় আল আমীন চিৎকার করলে জয়ের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল তার গলা চেপে ধরেন এবং চিৎকার করতে নিষেধ করেন। পরে কয়েকজন এসে তাদের দুইজনকে উদ্ধার করে।
তাদের চিৎকারে নিচে নেমে আসেন শাখা ছাত্রলীগের সভপতি তুষার কিবরিয়া ও হল সভাপতি হাসান আলী। তারা মারধরের শিকার সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে হলের গেস্ট রুমে বসিয়ে মাহমুদুল হাসান জয়ের কাছে মারধরের কারণ জানতে চান। এসময় তাদের উপরও তেড়ে আসেন জয়। পরে ঘটনার জন্য ভুল শিকার করে ওই দুই সাংবাদিককে হলে উঠতে বলেন।
এদিকে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বেরোবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভপতি তুষার কিবরিয়া বলেন, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। আমার এখতিয়ারের বাইরে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা মীমাংসার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
আরআর