ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল অরাজনৈতিক দল যারা তাদের দলের গঠনতন্ত্র, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য তালিকাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়নি তাদেরও সংলাপে ডাকা হবে। এ সংলাপেই উঠে আসবে রাকসু নিয়ে প্রতিটি সংগঠনের চাওয়া-পাওয়া।
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও রাকসু নির্বাচন সংলাপ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান বাংলানিজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের ২২ অক্টোবর রাকসু সংলাপ কমিটির সভা শেষে অধ্যাপক লুৎফর রহমান ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর কাছে তাদের নাম, নিবন্ধনপত্র ও গঠনতন্ত্র আহ্বান করেন।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে এসব কাগজপত্র সংগ্রহ শেষ হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কস),সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (লেলিন) বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন তাদের গঠনতন্ত্র ও কার্যকরী কমিটির তালিকা জমা দিয়েছে।
রাকসু সংলাপ কমিটি সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসে যে সব নিবন্ধিত ছাত্র সংগঠন রয়েছে তারাও কাগজপত্র জমা দিয়েছে। তাদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলোচনায় বসা হবে।
এছাড়া ক্যাম্পাসের অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যারা কাগজপত্র জমা দেয়নি পরবর্তীতে তারা যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় সংলাপ কমিটির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করতে হবে।
সংলাপ কমিটির আহ্বায়ক প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, দশটি দলের কাগজপত্র পেয়েছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহ থেকেই সংগঠনগুলোকে সংলাপের জন্য ডাকা হবে।
এককভাবে কোনো শিক্ষার্থীর নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি বলেন, কোনো শিক্ষার্থী যদি এককভাবে নির্বাচন করতে চায় সেই সুযোগও রয়েছে।
সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিভাগের অনুমোদন লাগবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীকে তার বিভাগের সভাপতি কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি রাকসু সংলাপ কমিটির কাছে জমা দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। তবে যদি বিভাগ থেকে সেই শিক্ষার্থীকে অযোগ্য কিংবা অছাত্র ঘোষণা করে তাহলে সে আর প্রার্থী হতে পারবে না বলেও জানান প্রক্টর।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
এসএস/এসএইচ