বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মো. সাদাত উল্লাহ ভেটেরিনারি ক্লিনিক নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। সেই বাজেট পাস হয় ২০১৬ সালে।
প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনের পাশে অস্থায়ী ভিত্তিতে ক্লিনিকটির কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। তবে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির বর্ধিতাংশের কাজ শুরু হওয়ায় তা ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ভেটেরিনারি ক্লিনিক নির্মাণে আহ্বায়ক কমিটি আমাদের যে নকশা দিয়েছে তার খরচ বরাদ্দের বাইরে চলে যাচ্ছে। আবার আমরা (প্রকৌশল বিভাগ) যে নকশা দিয়েছি, তা তাদের পছন্দ হচ্ছে না। তাদের (আহ্বায়ক কমিটি) বারবার চিঠি দেওয়া হলেও চিঠির উত্তর পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ভেটেরিনারি ক্লিনিক নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি করে দেওয়া হয়। পাবলিক হেলথ এবং মেডিসিন বিভাগের চেয়ারমন অধ্যাপক ড. মো. কেবিএম সাইফুল ইসলাম কমিটির আহ্বায়ক করা হয়।
এ বিষয় জানতে চাইলে ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রকৌশল বিভাগ থেকে চিঠি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভেটেরিনারি ক্লিনিকের নকশা পাঠিয়ে দিয়েছি। সেই নকশার চিঠি প্রকৌশল বিভাগ হারিয়ে ফেলেছে। পরবর্তীতে আমরা (আহ্বায়ক কমিটি) আবারও চিঠি দিয়েছি।
প্রশাসনের উদাসীনতায় ভেটেরিনারি ক্লিনিকের নির্মাণ কাজে গতি পাচ্ছে না বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে লেখালেখি করছেন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি ভারত থেকে ইন্টার্নি শেষ করে আসা এক শিক্ষার্থী বলেন, বিষয়ে তাত্ত্বিক জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও হাতে-কলমে না শেখার কারণেই ভারতে তাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়েছে। ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিজস্ব ভেটেরিনারি ক্লিনিক থাকায় তারা প্রাকটিক্যালি আমাদের থেকে এগিয়ে।
বাংলাদশে সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
ওএইচ/