ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কর্মনিষ্ঠ-বিনম্র মানুষ ছিলেন অধ্যাপক আবদুল মতিন

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩২ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৯
কর্মনিষ্ঠ-বিনম্র মানুষ ছিলেন অধ্যাপক আবদুল মতিন স্মরণ সভা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): সদ্য প্রয়াত বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মতিন সরকার একজন কর্মনিষ্ঠ, বিনম্র চরিত্রের মানুষ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ড. হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে অধ্যাপক আবদুল মতিন সরকারের স্মরণ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইতিহাস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী।

বক্তব্য রাখেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমা খান মজলিশ, সাবেক সচিব তাছলিমুর রহমান। স্মরণ সভা সঞ্চালনা করেন ইতিহাস পরিষদের যুগ্ম-সম্পাদক ও ঢাবির সহকারী প্রক্টর আবদুর রহিম।  

অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, অধ্যাপক আবদুল মতিন সরকার একজন কর্মনিষ্ঠ ও বিনম্র চরিত্রের মানুষ ছিলন। তিনি আত্মত্যাগী ছিলেন। নিজের প্রাপ্তির জন্য কোনো মনোযোগী ছিলেন না। তিনি ছিলেন ‘থিঙ্ক ট্যাংক’। প্রতিপাদ্য নির্ণয়ে অসাধারণ ভূমিকা ছিল। সুবিধার জন্য কোথাও না যেয়ে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঘনিষ্ট ছিলেন।
 
ঢাবি উপাচার্য বলেন, যতোদিন ইতিহাস পরিষদ থাকবে ততোদিন আবদুল মতিন সরকারের নাম চলে আসবে। তিনি আমাদের মধ্যে কর্মের মাধ্যমে জীবিত থাকবেন। নতুন প্রজন্মকে তার মূল্যবোধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করতে হবে। তিনি তার মানবিক মূল্যবোধের কারণে সবার মধ্যে উচ্চমর্যাদা দখল করতে সক্ষম হয়েছেন।
 
সভাপতির বক্তৃতায় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ইতিহাস পরিষদ যে চারজন মানুষ বলিষ্ঠভাবে তাদের ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে সেখানে আবদুল মতিন সরকার অন্যতম। তিনি অনেক রকমের চিন্তা-ভাবনা উপস্থাপন করতেন। সবাই তা নির্দিধায় গ্রহণ করতেন। তিনি প্রচারবিমূখ এবং লাজুক প্রকৃতির ছিলেন। আজকে অনুষ্ঠানে তার কর্মময় জীবন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে। এটি আরও ব্যাপক আকারে করার প্রয়োজন আছে।

অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, অধ্যাপক আবদুল মতিন সরকার সব সময় সৎপরামর্শ ও সঠিক কথা বলার চেষ্টা করেছেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইতিহাস পরিষদকে আগলে রেখেছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৯
এসকেবি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।