সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আলমগীর হোসেন নামে প্রাক্তন ওই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি আটক করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় সোপর্দ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আলমগীর হোসেন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের করিডোরে ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। এরপর তার পরিচয় জানতে চান অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। এসময় অর্থনীতি বিভাগের এক কর্মকর্তা তার আত্মীয় বলে পরিচয় দেন আলমগীর।
পরে তার বর্ণনা মতে ওই কর্মকর্তার খোঁজ নেওয়া হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর ওই শিক্ষক তাকে পুনরায় পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে আলমগীর হোসেন শিক্ষককে ঘুষি মেরে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে মারধর করে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করেন।
এ বিষয়ে অর্থনীতি বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিকে ঘটনার পরই আমরা আটকে রাখি। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, তিনি বিভিন্ন পরিচয় দিতে থাকেন। প্রথমে তিনি পুলিশের এএসআই এবং পরে ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয় দেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দিয়েছে। আমরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছি। বিষয়টি নিয়ে বিভাগের পক্ষ থেকে একটি কমিটি করা হবে। সে আমাদের সাবেক শিক্ষার্থী হয়ে থাকলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীর সঙ্গে দেখা করে অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
আরএ