আনন্দ-উৎসব, আড্ডায় মেতে উঠছেন গ্র্যাজুয়েটরা। পুরনো দিনের বন্ধু-বান্ধব, সিনিয়র-জুনিয়রদের সঙ্গে খোশগল্পে মেতে উঠছেন তারা।
ইতোমধ্যে বর্ণিল সাজে সেজেছে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন জায়গাগুলো। পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে সাজানো হয়েছে রঙ-বেরঙের আলোকসজ্জায়। মূল ফটক, এককিলো, গোলচত্বর, বঙ্গবন্ধু চত্বর, চেতনা একাত্তর, বিভিন্ন একাডেমিক ভবনগুলো সেজেছে নানান সাজে। সমাবর্তন সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কথাসাহিত্য অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
সমাবর্তনে রেজিস্ট্রেশন করা কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০০১-০২ সেশনের শিক্ষার্থী গৌরব রায় বলেন, দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে এসে বন্ধু-বান্ধব ও সিনিয়র-জুনিয়রদের সঙ্গে দেখা হয়ে অনেক ভালো লাগছে। আমাদের ক্যাম্পাসে আগের তুলনায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোর মধ্যে এটি একটি স্মৃতি হয়ে থাকবে। সমাবর্তন প্রত্যাশী রসায়ন বিভাগের ২০০৪-০৫ সেশনের শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান বলেন, অনেক বছর পরে সমাবর্তন হলেও এটি আমাদের জন্য অনেক আবেগের বিষয়। পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। অনেক বন্ধু-বান্ধবী দেশে-বিদেশে আছে। সমাবর্তনের কারণে সবার সঙ্গে দেখা হবে। এটি জীবনের গল্পে আরেকটি গল্প।
বাংলা বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের শর্মিলা দাশ বলেন, শিক্ষা জীবন শেষে সব শিক্ষার্থীদের একটা স্বপ্ন থাকে সমাবর্তন পাওয়ার জন্য। এ অসাধারণ মুহূর্তে পরিবারের মা, বাবা ও স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। সবার মতো আমিও এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই। সমাজকর্ম বিভাগের ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষের সালমা বলেন, এর আগে দ্বিতীয় সমাবর্তনেও আমি অংশ নিয়েছি। এবারও সমাবর্তনে অংশ নিচ্ছি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত হয়ে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে সমাবর্তনে এসেছি। পরিবারের সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারছি বলে খুবই ভালো লাগতেছে।
এবারের সমাবর্তনে মোট ছয় হাজার ৭৫০ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এদের মধ্যে সএদের মধ্যে স্নাতক চার হাজার ৬১৭ জন, স্নাতকোত্তর এক হাজার ১২৭, পিএইচডি দু'জন, এমবিবিএস ৮৭৮, এমএস ও এমডি ডিগ্রিধারী ছয়জন এবং নার্সিংয়ের ১২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
২০০১-০২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী ১২ শিক্ষার্থী ও স্নাতকোত্তরে আট শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক দেবেন। অন্যদিকে অনুষদে প্রথম হওয়া মোট ৮৯ জন শিক্ষার্থীকে ‘ভাইস চ্যান্সেলর’ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এএটি