রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে খুবি শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে ক্যাম্পাসের হাদী চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা এ কথা জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় সমিতির পক্ষ থেকে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষক মানববন্ধনে অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. সারওয়ার জাহান এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সমিতির সভাপতি বলেন, শিক্ষার্থীদের অন্দোলনে শিক্ষকদের প্রকাশ্য ইন্ধন দুঃখজনক, নজিরবিহীন। ছাত্রদের অধ্যাদেশ পরিবর্তনের দাবি মেনে নিলে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে। ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি আমরা চাই না। এটা কোনোক্রমেই মেনে নেওয়া য়ায় না। ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি যথাযথ প্রক্রিয়ায় সমাধান সম্ভব। ডিন কমিটি সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। তাই বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি কাম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে গড়ে ওঠা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও ভাবমূর্তি কোনোভাবেই বিনষ্ট হতে দেওয়া যায় না। কারও বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম বা অন্য কোনো অভিযোগ থাকলে তা যথাযথ প্রক্রিয়ায় ও বিধিবিধান অনুসরণ করেই উপস্থাপন করা যায়। প্রতিকার চাওয়া যায়।
‘কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে অ্যাকাডেমিক পরিবেশ বিনষ্ট করতে চাইলে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবিধানের পরিপন্থি কাজ করলে, সেই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ নিয়মানুয়ায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে প্রয়োজনে আমরা সহযোগিতা করবো। ’
তিনি আরও বলেন, উপাচার্য দীর্ঘদিন ধরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন। আমরা তার সঙ্গে বিভিন্ন ফোরামে কাজ করছি, ফেসবুকে তার বিরুদ্ধে যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি এমন মানসিকতা লালন করেন না বলেই আমাদের বিশ্বাস।
অপরদিকে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সমস্যা অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনায় নিয়েই কাজ করি। সেভাবেই আমরা তাদের উত্থাপিত কতিপয় দাবি নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু হঠাৎ করেই তারা ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করে। এটা দুঃখজনক। আমরা সব সময়ই বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার পক্ষে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
এমআরএম/এসএ