ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার খোলা রাখতে নীতিমালা দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার খোলা রাখতে নীতিমালা দাবি

ঢাকা: পাবলিক পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টারগুলো খোলা রাখতে নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশন বাংলাদেশ (অ্যাসেব)।

রোববার (১২ জানুয়ারি) ফার্মগেটে অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
 
ফ্রিল্যান্সিং কোচিং মালিকদের সংগঠন অ্যাসেব আহ্বায়ক মো. ইমাদুল হক বলেন, কোনো দেশের উন্নতির মূল নিয়ামক হলো উপযুক্ত শিক্ষা ও দক্ষ জনশক্তি।

বর্তমান সরকারের হাত ধরে বিগত দশকে শিক্ষাখাতে সর্বস্তরেই দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। সব শিশুকে বিদ্যালয়মুখী করার উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা নেওয়ার ফলে প্রায় শতভাগ শিশু বিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে।  

এছাড়াও বিনামূল্যে বই বিতরণ, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত আইসিটি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা, উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সব পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি প্রবর্তন, স্কুল-কলেজগুলোতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন ইত্যাদি কার্যকরী উদ্যোগগুলোর অন্যতম।  

তিনি বলেন, বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার সময় অধিকাংশ স্কুল-কলেজের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকে। কোচিংগুলোও বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। পড়ালেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় ছাত্রছাত্রীরা। দিশেহারা হয়ে পড়েন অভিভাবক মহল। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সমাধান চায় ফ্রিল্যান্সারদের সংগঠন অ্যাসেব।
 
অ্যাসেব আহ্বায়ক বলেন, বর্তমান সরকারের হাত ধরে শিক্ষাখাতে আমরা বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করতে পারলেও বর্তমান দশকে শিক্ষাক্ষেত্রে একটি সমস্যা আমাদের অনেক ভুগিয়েছে- সেটা হলো প্রশ্নফাঁস। বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এই প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখাও একটি। যদিও প্রশ্ন তৈরি, বিতরণ ও সরবরাহ- কোনো প্রক্রিয়ার সঙ্গেই কোচিং সেন্টার জড়িত না।
 
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো এসএসসি পরীক্ষার সময় সরকারের পক্ষ থেকে কোচিং বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সরকারের নির্বাহী আদেশে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখি। কিন্তু দৃশ্যমান ফল হলো সে বছর বিগত সময়ের মতোই প্রশ্নপত্র ফাঁস অব্যাহত থাকে।  

‘আবার ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে পিইসি পরীক্ষার সময় সরকার কোচিং বন্ধ ঘোষণা করেনি, আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোও খোলা ছিল, কিন্তু কোনো প্রশ্নফাঁস হয়নি। এর থেকে এটা সহজেই অনুমেয়, ফ্রিল্যান্সাররা পরিচালিত ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সঙ্গে প্রশ্নফাঁস হওয়া সম্পর্কযুক্ত নয়। ফলে আমরা বলতেই পারি প্রশ্নফাঁসের জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
 
শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করে বলা হয়, বৃহত্তর স্বার্থে ছায়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসা হোক যাতে পাবলিক পরীক্ষার সময়ও বন্ধ রাখতে না হয়। এতে বৈষম্য হ্রাস পাবে, শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এবং মেধাবী তরুণরাও এই সেক্টরে আসতে উৎসাহিত হবে। সেক্ষেত্রে ছায়াশিক্ষা এন্টারপ্রিনিয়রশিপের অনেক ভালো একটি ক্ষেত্র হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
 
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান সোহাগ, শামসেয়ারা খান ডলি, মাহবুব আরেফিন, আকমল হোসাইন, পলাশ সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।