মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে শিক্ষার্থীদের দাবির ভিত্তিতে তাদের সঙ্গে আলোচনা সভায় বসেন ডা. জাফরুল্লাহ। কিন্তু আলোচনা মন মতো না হওয়ায় দুপুর ১টার দিকে আলোচনা বয়কট করে তালাবদ্ধ করে রাখা হয় তাকে।
এর দেড় ঘণ্টা পর তালা খুলে দিয়ে আবারো তাকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করেন শিক্ষার্থীরা। আলোচনায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিজেদের সমস্যা তুলে ধরেন। ছাত্রসংসদের নেতারা নিজেদের অভিষেক দেরিতে হওয়া এবং মাঝখানে বেশ কিছুদিন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর দাবি করেন।
ফিজিওথেরাপি বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিজেদের বিভাগের অনুমোদন না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা ভিসির পূর্ণ নিয়োগ নিয়েও কথা বলেন।
আলোচনায় বসার পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় বিকেল ৩টা ৫০মিনিটে আবারও তালাবদ্ধ হন ডা. জাফরুল্লাহ।
তালাবদ্ধ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের তিনি বোঝাতে সক্ষম হন, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগের ব্যাপারে হাইকোর্টের রায় মেনেই তারা কাজ করছেন। আশা করা যায়, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ভিসি নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
আলোচনায় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি শোনার পর তিনি বলেন, আমাদের কোনো সমস্যা নেই, ইউজিসি সমস্যা করেছে। আমরা নিয়ম মেনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছি। হাইকোর্টের আদেশ মেনে আমরা আইনের মধ্যেই থাকতে চাই। ভিসি নিয়ে এ সমস্যা সরকারসৃষ্ট সমস্যা।
তিনি আরও বলেন, আমরা নিয়ম মেনে ভিসির অনুমোদনের জন্য ডা. লায়লা পারভিন বানুসহ তিনজনের প্যানেল করে পাঠিয়েছি। প্রো-ভিসি, ট্রেজারারের নামও পাঠিয়েছি। এটি ইউজিসির নিজের সমস্যা।
ফিজিওথেরাপি বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা ফিজিওথেরাপি সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরাই একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যারা ফিজিওথেরাপি নিয়ে অনার্স কোর্স পরিচালনা করছি। তাই কিছু সমস্যা সামনে এসেছে। আলোচনার মধ্য দিয়ে যেভাবে দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে, আমরা সে পথেই এগুবো।
ছাত্রসংসদের মেয়াদ বাড়ানোর প্রশ্নে তিনি বলেন, ছাত্রসংসদের গুরুত্ব রয়েছে, মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হবে। এভাবেই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন আশাজাগানিয়া কথা বলে তিনি আলোচনা সমাপ্ত করে বের হতে সক্ষম হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২০
এফএম