শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তন প্রাঙ্গণে এ মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
এসময় উপাচার্য বলেন, পাখিরা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পাখি বিশেষজ্ঞরা বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত বছরের থেকে এবছর বেশি সংখ্যক পরিযায়ী পাখি এসেছে। এর মধ্যে বিদেশি পাখির পাশাপাশি রয়েছে দেশীয় নানা প্রজাতিও। পাখির বিচরণক্ষেত্র দর্শনার্থীদের উৎপাত ও দূষণমুক্ত রাখতে পারলে পাখির সংখ্যা আরও বাড়বে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে মেলার আহ্বায়ক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান বলেন, পাখি মেলার মূল উদ্দেশ্য পাখি সম্পর্কে গণসচেতনতা বাড়ানো। এ সচেতনতা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে, যাতে পাখির কোনো প্রজাতি বিলুপ্তির দিকে না যায়।
তিনি জানান, এ শীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পরিযায়ী পাখি আসে গত ৪ সেপ্টেম্বর।
তিনি বলেন, দর্শনার্থীর উৎপাত কম থাকায় বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার পাখির সংখ্যা বেড়েছে। প্রথম দিকে কোলাহল কম থাকায় প্রশাসনিক ভবনের পাশের লেকে এবার সবচেয়ে বেশি পাখি এসেছিল। পরে কোলাহলের কারণে পাখিরা আবার অন্য লেকগুলোতে সরে যায়। সুতরাং কোলাহলমুক্ত থাকলে পাখি বেশি দেখা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুল কবির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৯ প্রজাতি থেকে এখন ২০৪ প্রজাতির পাখি আসছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা পাখির বিচরণক্ষেত্র দূষণমুক্ত রাখা ও পাখির ভীতির সঞ্চার করে এমন কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
পাখি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) কান্ট্রি ডিরেক্টর রাকিবুল আমিন, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে পাখি বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদনের জন্য ‘কনজারভেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ দেওয়া হয়। অনলাইন ক্যাটাগরিতে বাংলানিউজ২৪.কমের বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, প্রিন্ট মিডিয়ায় দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের মো. তহিদুল ইসলাম ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মো. আব্দুল্লাহ আল ওয়াহিদ এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। এসময় উপাচার্য তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও সনদ তুলে দেন।
দিনব্যাপী এ মেলায় বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে রয়েছে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি দেখা প্রতিযোগিতা, পাখিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শিশু-কিশোরদের পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলার দিয়ে শিশু-কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, স্টল সাজানো প্রতিযোগিতা (পাখির আলোকচিত্র ও পত্র-পত্রিকা প্রদর্শনী), আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি চেনা প্রতিযোগিতা (অডিও-ভিজুয়ালের মাধ্যমে), উপস্থিত সবার অংশগ্রহণে পাখিবিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা এবং সবশেষে পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
এফএম