করোনাকালে স্কুল কর্তৃপক্ষ সকল অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়েছে, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর সকল টিউশন ফি পরিশোধ করা যাবে। এছাড়াও স্কুল কর্তৃপক্ষ ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে কোনো টিউশন ফি না বাড়ানো এবং বাৎসরিক টিউশন ফি পরিশোধে কোনো চার্জ ছাড়াই ৪টি কিস্তি বাড়িয়ে ১০টি করার ঘোষণা দিয়েছে।

স্কুল কর্তৃপক্ষ আরো জানিয়েছে, স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্বে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কাজ করবে তারা।

এরই ধারাবাহিকতায়, মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেড টিউশন ফি পরিশোধে ২৪টি সহজ কিস্তির সুযোগ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এক্ষেত্রে, অভিভাবকদের সুবিধা বিবেচনায়, স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের জন্য পর্যায়ক্রমে এ সুযোগ নিয়ে আসে। অভিভাবকরা টিউশন ফি পরিশোধে নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী স্কুলের দেওয়া অতিরিক্ত কোনো চার্জ সংযুক্তি ছাড়া ১০টি কিস্তির সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন কিংবা চাইলে ২৪ মাসের সহজ কিস্তি সুযোগও গ্রহণ করতে পারেন।  

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহায়তায় বিনামূল্যে ইন্টারনেট সুবিধাও দিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।  

ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকা অভিভাবকদের জানিয়েছে, যদি অনলাইন ক্লাস চলমান থাকে, তবে ক্লাস চলাকালীন সময়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের বাসায় বিনামূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা দেবে। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেওয়া এ ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশে এটাই প্রথম।  

এ নিয়ে দিল্লি পাবলিক স্কুল ঢাকার অধ্যক্ষ মধু ওয়াল বলেন, আমার বিশ্বাস প্রথমবারের মতো কোনো স্কুল স্বপ্রণোদিতভাবে বিস্তৃত পরিসরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহায়তায় এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে অনলাইন ক্লাস চলাকালীন শিক্ষার্থীদের বাসায় বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া। যা শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানসম্পন্ন শিক্ষার অভিজ্ঞতা পেতে সহায়তা করবে। এছাড়াও স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করে। যে কারণে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জামাদির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে।

ডিপিএস এসটিএস স্কুলের শিক্ষকগণ ধারাবাহিকভাবে অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করে যাচ্ছেন। এমনকি সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময়েও তাদের অনলাইন ক্লাস চলমান ছিল। চলমান সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষকসহ স্কুলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সার্বিক দেখভালের বিষয়গুলো নিশ্চিত করছে, কেননা শিক্ষকসহ সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরও নিজেদের পরিবার রয়েছে দেখাশোনার জন্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২০
জেআইএম/জেআইএম