ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবির বাজেট ৮৬৯ কোটি টাকা, গবেষণা খাতে বরাদ্দ কমেছে

সাজ্জাদুল কবির, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২০
ঢাবির বাজেট ৮৬৯ কোটি টাকা, গবেষণা খাতে বরাদ্দ কমেছে ঢাবির বাজেট ৮৬৯ কোটি টাকা, গবেষণা খাতে বরাদ্দ কমেছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ২০২০-২১ অর্থবছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৮৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার রাজস্ব ব্যয় সম্বলিত  বাজেট গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে গবেষণা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে বাজেটের মাত্র ১.০৯ শতাংশ।

অন্যদিকে নতুন এ বাজেটে বেড়েছে ঘাটতির পরিমাণ।  

বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ বাজেট উপস্থাপন করেন কোষাধ্যক্ষের অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়া উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।  

এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। অধিবেশনে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালও উপস্থিত ছিলেন। সিনেটে গৃহীত হওয়ার পূর্বে নিয়ম অনুযায়ী এই বাজেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও ফিন্যান্স কমিটিতে অনুমোদন লাভ করে।

গৃহীত বাজেট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৮৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বাজেটের মধ্যে আয় হিসেবে ধরা হয়েছে ৮১৯ কোটি ৬ লাখ টাকা। যা ঘোষিত বাজেটের ৯৪.১৯ শতাংশ। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে আসবে ৮৬.০৩ শতাংশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ৮.১৭ শতাংশ।

ব্যায় খাতের মধ্যে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পেনশন খাতে। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাবদ ব্যয় হবে ২৬৭ কোটি টাকা। যা মূল বাজেটের ৩০.৭১ শতাংশ। ভাতাদি বাবদ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২১৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ২৪.৮১ শতাংশ। পেনশন ও অবসর সুবিধা বাবদ ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি টাকা, যা বাজেটের ১৪.৩৮ শতাংশ। সরবরাহ ও সেবা বাবদ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯৮ কোটি ৪ লাখ টাকা, যা মূল বাজেটের ২২.৭৭ শতাংশ। অন্যান্য অনুদান হিসেবে ব্যয় হবে ২৩ কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর মূলধন অনুদানের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩০ কোটি ৬১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।

বাড়ছে ঘাটতি বাজেট

বাজেট বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অনুদান রয়েছে ৭৪৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। শিক্ষার্থীদের ফি, ভর্তি ফরম বিক্রি, বেতন-ভাতা, সম্পত্তিসহ নিজস্ব খাত থেকে ৭১ কোটি টাকা আয় দেখানো হচ্ছে। এ দুই খাত থেকে মোট ৮১৯ কোটি ছয় লাখ টাকা আয় হওয়ায় বাজেটে ঘাটতি থাকবে ৫০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

২০১৯-২০ অর্থ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনায় বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮১০ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এ দিন গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট উপস্থাপন করা হয় ৮৪৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে ঘাটতি দাঁড়ায় ৩৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৪১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা যা পূর্ববর্তী ২০১৭-১৮ অর্থবছর, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ঘাটতি বাজেটের তুলনায় বড়।

গবেষণায় বরাদ্দ কমছে

প্রায় ৮৭০ কোটি টাকার বাজেটে নির্ধারণ করা হলেও গবেষণা খাতে গতবারের চেয়ে বরাদ্দ কমছে। এ খাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের ১.০৯ শতাংশ। সিনেট অধিবেশনেই অনেক শিক্ষক এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।  

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে গবেষণা বরাদ্দ কম রাখা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, গবেষণা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান যাচাইয়ে ভূমিকা রাখে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ পর্যাপ্ত নয়। উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাসহ ছাত্রদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট খাতে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২০
এসকেবি/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।