ইবি: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিভাগ থেকে তার ছাত্রত্ব বাতিল ও আইনের আওতায় আনার সুপারিশও করা হয়।
শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরের দিকে বিভাগীয় একাডেমিক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্ট বিভাগ। অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীর নাম সাইফুল্লাহ আল হাদী। তিনি আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরের দিকে অভিযুক্ত হাদী ফ্রান্সের পক্ষ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে হাদীর বিরূদ্ধে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতির আঘাত দেওয়ার অভিযোগ উঠে।
বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পরে রাতের দিকে হাদী স্ট্যাটাস ডিলেট করে দেন। পাশাপাশি আইডিও ডিএক্টিভেট করে রাখেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি ও আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেন। শিক্ষার্থীরা তার বিরূদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন সময় ইসলাম ধর্ম নিয়ে তাচ্ছিল্যকর মন্তব্য ও নারীদেরকে হেয় করার অভিযোগ করেন।
ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজরে আসলে একাডেমিক সভায় প্রশাসনের কাছে বিভাগ থেকে তার ছাত্রত্ব বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও আইনের আওতায় আনার সুপারিশ জানান।
বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তাক মোক্তাদির মনোয়ার আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দু:খজনক। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা জরুরি একাডেমিক সভা ডাকি। সভায় তার বিরূদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর ভিত্তিতে প্রশাসনের কাছে তার ছাত্রত্ব বাতিল, স্থায়ী বহিষ্কার ও আইনের আওতায় আনার সুপারিশ জানিয়েছি। ’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এম এম আব্দুল লতিফ বাংলানিউজকে বলেন, বিভাগের চিঠি আমার কাছে এখনো আসেনি। তবে বিভাগের সিদ্ধান্ত আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। চিঠি পেলে উপাচার্যের কাছে নোট আকারে পাঠোবো। উপাচার্য মহোদয় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৩, নভেম্বর ০১, ২০২০
এমআরএ