ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ২০২১ সালের কার্যকর পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর। প্রতিবার নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল এবং বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও এবার তৈরি হয়েছে ভিন্ন প্রেক্ষাপট।
নির্বাচন কমিশনার হিসেবে এবার দায়িত্ব পালন করবেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক জাকির হোসেন ভূইয়া।
৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে।
তফসিল অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর সকাল দশটা থেকে বিকেল আড়াইটা পর্যন্ত ভোট হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা যাবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেওয়া যাবে মনোনয়ন পত্র জমা। মনোনয়ন পত্র বাছাই, প্রার্থীতা প্রত্যাহার ও প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ২০ ডিসেম্বর এর মধ্যে সম্পন্ন হবে।
নির্বাচন পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসনে ভূইয়া বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। দুই-একজন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। আমরা আশা করছি নির্বাচনে সবাই অংশ নেবেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার নির্বাচন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে থাকা নীল দলের প্রতনিধিদের মধ্যে দুটি অভিমত আসে। একটি অংশ চেয়েছিল, করোনা পরিস্থিতিতে বর্তমান কমিটি দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু অন্য একটি অংশ যারা গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় তারা গঠনতন্ত্রের বাধ্যবাধকতা এনে নতুন নির্বাচনের দাবি তোলে। পরে শিক্ষক সমিতি থেকে দুই দলের মতামত নেওয়া হয়। সেখানে নীল দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার এবং সাদা দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার পক্ষে মত দেয়।
এ বিষয়ে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা বলেছি। কারণ ক্যাম্পাসের একাডেমিক কার্যক্রম এখনো সচল হয়নি সরাসরিভাবে। অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের বড় একটি অংশ ক্যাম্পাসের বাইরে থাকেন। তাদের ক্যাম্পাসে এনে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আমরা ফেলতে চাই না। যেখানে ডাকসু ইলেকশান বন্ধ রয়েছে সেখানে শিক্ষক সমিতির ইলেকশান করা যৌক্তিক মনে করছে না সাদা দল।
অপরদিকে নীল দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের পক্ষে বিভন্ন যুক্তি তুলে ধরা হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন করতে হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনলাইনে বা অনুষদভিত্তিক ভোট গ্রহণ করার কথা বলা হয়। তবে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে নীল দলে এখনো কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে বেশ কয়েকজের নাম শোনা যাচ্ছে। তারমধ্যে রয়েছেন জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূইয়া, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক রহমত উল্লাহ, টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এজেএম শফিউল আলম ভূইয়া, সমিতির বর্তমান যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পারভেজ সাজ্জাদ, নীল দলের বর্তমান যুগ্ম-আহবায়ক ড. আবদুর রহিম। তবে, নীল দল থেকে নির্বাচিত কয়েকজন সদস্য নতুনদের নির্বাচনে সুযোগ করে দিতে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ঘোষণা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২০
এসকেবি/এইচএডি