ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বিজয় দিবসে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করল ডুজা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
বিজয় দিবসে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করল ডুজা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘সংবাদপত্রে বিজয়গাঁথা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।  

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

 

সমিতির সভাপতি মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল কবিরের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামূল হক ভুইঁয়া।

উদ্বোধনকালে উপাচার্য বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি মুক্তিযুদ্ধ এবং বিজয় দিবসকে সামনে রেখে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে, এজন্য তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। মহান মুক্তিযু্দ্ধ এবং চূড়ান্তভাবে যে বিজয় হয়ে গেলো, সেই বিজয়গাঁথা কীভাবে পত্র-পত্রিকায় প্রতিফলিত হয়েছিলো, তার একটি সচিত্র প্রতিবেদন নিয়ে আজকের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং তথ্য আদান-প্রদান, সেটি চলমান থাকবে। কেননা একসময়ে এগুলো পত্র-পত্রিকায় প্রতিফলিত হয়েছিলো, তখনকার পাঠক সমাজ এটি পাঠ করতেন অনুধাবন করতেন। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম গবেষক ছাড়া কেউই এগুলো আগ্রহ ভরে দেখে না। এই প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে অগণিত দর্শক যারা এগুলো দেখবেন, খানিক সময়ের জন্য হলেও তারা মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে পূর্বের সেই মূল্যবোধ ফিরে যেতে পারবেন।

তিনি বলেন, অনেকগুলো চিত্রে দেখা গেলো, সেই সময়ও ধর্মের নানা রকম অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বহিঃপ্রকাশ সেদিন পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের এদেশীয় দোসররা ঘটিয়েছিলো। তারা ব্যক্তিগতভাবে চিঠিপত্র লিখতো, পত্রিকায় লিখতো ও সভা সমাবেশের আয়োজন করতো, যেখানে ধর্মের অপব্যাখ্যা থাকতো। আজকেও কিছু উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী থাকে, যারা নানাভাবে ধর্মের অপব্যাখা দিয়ে মানুষের মাঝে বিভেদ তৈরি করে এবং বিভিন্ন সভ্যতার স্মারকসমূহ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে। এগুলো ১৯৭১ এর অনভিপ্রেত ঘটনাগুলোকে স্মরণ করিয়ে দেয়। তাই আমরা খেয়াল রাখবো, উগ্র অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি অপব্যাখার কারণে যাতে কোনো অনভিপ্রেত ঘটনার উদ্রেক না ঘটে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
এসকেবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।